আলোর পথে নুসাইফা: Nusaifa on the Path of Light"

 উপন্যাস: বিশ্বাসের আকাশে ভালোবাসা 

নুসাইফার প্রেম ও বিশ্বাসের যাত্রা, যেখানে সে ইসলামের আলোতে নিজের নতুন জীবনের সন্ধান পায়। (Nusaifa's journey of love and faith, where she finds a new life in the light of Islam.)

 পরিচয়

নুসাইফা ছিল ঢাকার একটি নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক শিক্ষার্থী। পরিবারের একমাত্র মেয়ে হওয়ায় ছোটবেলা থেকেই সবাই তাকে খুব আদর করত। তার বাবা ছিলেন একজন ব্যবসায়ী, মা একজন গৃহিণী। সমাজের আধুনিক ধ্যানধারণায় নুসাইফা বেড়ে উঠেছে, তার চারপাশের জীবনও ছিল বেশ রঙিন। বন্ধুদের সাথে পার্টি, আড্ডা আর আধুনিক জীবনের চলমানতার মধ্যে সে নিজের জগতের বাইরে কিছু ভাবার সুযোগ পায়নি।

একদিন লাইব্রেরিতে বসে ক্লাসের পড়া নিয়ে ব্যস্ত থাকার সময় হঠাৎ করেই তার নজরে আসে একজন ছেলে। ছেলেটির নাম রহমাতুল্লাহ। সে ছিল শান্ত, গভীর দৃষ্টির অধিকারী। তার মুখে সবসময় একটি স্নিগ্ধ হাসি লেগে থাকত। নুসাইফা প্রথম দেখাতেই তার প্রতি একধরনের আকর্ষণ অনুভব করে, যদিও সেই আকর্ষণ প্রেমের নয়, বরং কৌতূহলের। ছেলেটির এমন স্বাভাবিক শান্ত আচরণে নুসাইফা অবাক হয়েছিল। তার মনে প্রশ্ন জাগল, কীভাবে সে সবসময় এত ধীরস্থির থাকতে পারে?

এরপর অনেকবারই তাদের দেখা হয়, মাঝে মাঝে কথাও হয়। একদিন নুসাইফা রহমাতুল্লাহকে জিজ্ঞাসা করে, “তুমি সবসময় এত শান্ত থাকো কীভাবে? তোমার জীবনে কোনো দুশ্চিন্তা নেই?”

রাহমাতুল্লাহ হেসে বলল, “আমার জীবনের সবকিছুই আল্লাহর হাতে। আল্লাহ তায়ালার প্রতি পূর্ণ বিশ্বাস আর তাঁর নির্দেশিত পথে চলার মধ্যেই আমি শান্তি পাই।”

নুসাইফা কিছুটা অবাক হয়। সে কখনো ধর্মের বিষয়ে এত গভীরভাবে ভাবেনি। তার মনে নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হয়, কিন্তু তখনো সে কিছু বলতে সাহস করে না। তবে রহমাতুল্লাহর সাথে তার বন্ধুত্ব দিন দিন গভীর হতে থাকে। নুসাইফা রহমাতুল্লাহ এর মধ্যে  একধরনের গভীরতা দেখতে পায়, যা তাকে ক্রমশ আকর্ষণ করতে থাকে।

ধর্মের  প্রতি আকর্ষণ

একদিন নুসাইফা এবং রহমাতুল্লাহ  বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে বসে আলাপ করছিল। নুসাইফা বলল, “তুমি কি সবসময় এতটা ধর্মপ্রাণ ছিলে?”

রহমাতুল্লাহ মৃদু হাসল, “ছোটবেলা থেকেই আমি ইসলামকে ভালোবাসতাম, কিন্তু আমার জীবনে প্রকৃত পরিবর্তন আসে যখন আমি কুরআন নিয়ে গভীরভাবে চিন্তা করা শুরু করি। আল্লাহ তায়ালার বাণী আমার হৃদয়কে স্পর্শ করেছে, আর আমি সেই পথেই নিজেকে সমর্পণ করেছি।”

নুসাইফা অবাক হয়ে শুনছিল। সে তার জীবনে কখনো এত গভীরভাবে ধর্ম নিয়ে ভাবেনি। কৌতূহল বাড়তে থাকে। রাহমাতুল্লাহ  তাকে কুরআনের একটি আয়াত শোনায়:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

অর্থ: "হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামের পূর্ণাঙ্গভাবে প্রবেশ করো এবং শয়তানের পথ অনুসরণ করো না। নিশ্চয়ই সে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।" (সূরা আল-বাকারা, ২:২০৮)

এই আয়াত নুসাইফার মনে গভীরভাবে দাগ কাটে। তার জীবনের প্রতিটি দিক নিয়ে সে ভাবতে শুরু করে। সবকিছু কি সত্যিই এত সোজা? সে কি কোনো শূন্যতায় ডুবে আছে, যেটা সে আগে বুঝতে পারেনি? রহমাতুল্লাহর কথা তাকে নতুন করে ভাবতে শেখায়।

প্রেমের উন্মেষ

নুসাইফার এই চিন্তাভাবনার মাঝে ধীরে ধীরে রহমতুল্লাহর প্রতি  তার অনুভূতিও বদলে যেতে থাকে। একদিন সে হঠাৎ বুঝতে পারে যে, সে রহমাতুল্লাহর প্রতি গভীরভাবে আকৃষ্ট। কিন্তু সে দ্বিধান্বিত ছিল। তার এই অনুভূতি কি শুধুই মুগ্ধতা, নাকি আরও গভীর কিছু?

রহমাতুল্লাহর প্রতি ভালোবাসা বাড়তে বাড়তে নুসাইফা বুঝতে পারে, সে শুধু রহমাতুল্লাহ কে  ভালোবাসে না, বরং তার বিশ্বাস ও জীবনদর্শনের প্রতিও আকৃষ্ট হয়েছে। সে ইসলামের প্রতি আরও আগ্রহী হয়ে ওঠে, কুরআন পড়া শুরু করে, হাদিসের বিভিন্ন বই নিয়ে গবেষণা করতে থাকে।

 নতুন জীবনের সূচনা

কয়েক মাসের চিন্তা ও আত্মপ্রকাশের পর নুসাইফা  একদিন রহমাতুল্লাহ কে বলে, “আমি ইসলাম গ্রহণ করতে চাই। আমি দেখতে পাচ্ছি, আমার জীবন কেমন বদলে যাচ্ছে।”

রহমাতুল্লাহ বিস্ময়ে তাকায়, “তুমি কি নিশ্চিত? এটি একটি বড় সিদ্ধান্ত, শুধু ভালোবাসার জন্য নয়, এটি সম্পূর্ণ এক নতুন জীবনধারা।”

নুসাইফা তার চোখে আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলে, “হ্যাঁ, আমি পুরোপুরি নিশ্চিত। আমি এই শান্তি চাই, যেটা ইসলাম আমার কাছে এনে দিয়েছে।"

নুসাইফা কালেমা পাঠ করে ইসলাম গ্রহণ করে। এরপরই তার জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আসে, তার পরিবার তার এই পরিবর্তন মেনে নিতে পারছিল না। মা-বাবা তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। কিন্তু নুসাইফা দৃঢ় থাকে। সে জানত, এই পথই তার জন্য সঠিক।

اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

অর্থ: "আল্লাহ আসমান ও জমিনের নূর (আলো)।" (সূরা আন-নূর, ২৪:৩৫)

নুসাইফার মন এই আয়াতে শক্তি খুঁজে পায়। আল্লাহর পথে চলতে গিয়ে অনেক চ্যালেঞ্জ এসেছে, কিন্তু তার বিশ্বাস ছিল এই পথই তাকে আলো দেবে।

 প্রেম এবং ধর্মের পথে অগ্রযাত্রা

নুসাইফা এবং রহমতুল্লাহর সম্পর্ক আরও গভীর হতে থাকে। তারা একসাথে ইসলামের পথে চলার শপথ নেয়। দুজনেই নিজেদের জীবনে ইসলামকে সম্পূর্ণরূপে গ্রহণ করে। রহমতুল্লাহর নুসাইফার পাশে  দাঁড়ায়, তাকে সবসময় সমর্থন দেয়।

তারা বিয়ে করে, এবং বিয়ের পরেও ইসলামের জ্ঞান চর্চা চালিয়ে যায়। তাদের জীবন কুরআন এবং হাদিসের আলোকে সাজানো হয়। তাদের ভালোবাসা আর বিশ্বাসের সমন্বয়ে তারা এক নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

Novel: Love in the sky of faith 

Chapter One: Introduction

Nusaifa was a graduate student of a reputed university in Dhaka. Being the only girl in the family, she was adored by everyone from childhood. His father was a businessman, mother a housewife. Nusayfa grew up in the modern mindset of the society.The life around him was also quite colorful. Between partying with friends, chatting and the goings-on of modern life, he didn't get a chance to think outside of his own world.

One day, while sitting in the library while busy studying for the class, suddenly a boy came to his attention. The boy's name is Rahmatullah. He was calm, deep-eyed. He always had a sweet smile on his face. Nusaifa feels a kind of attraction towards him at first sight, though that attraction is not love, but curiosity. Nusaifa was surprised by the boy's natural calm demeanor. The question arose in his mind, how can he always be so slow?

After that they meet many times, sometimes they talk. One day Nusaifa asked Rahmatullah, “How come you are always so calm? Don't you have any worries in your life?”

Rahmatullah smiled and said, “Everything in my life is in the hands of Allah. I find peace in full faith in Allah Ta'ala and following His guidance."

Nusaifa is a bit surprised. He had never thought so deeply about religion. New questions formed in his mind, but he still did not dare to say anything. But his friendship with Rahmatullah deepened day by day. Nusayfa sees a depth in Rahmatullah, which attracts her more and more.

Chapter II: Attraction to Religion

One day Nusaifa and Rahmatullah were sitting in the university canteen and talking. “Were you always so religious?” Nusayfa said.

Rahmatullah smiled softly, “I loved Islam from childhood, but the real change in my life came when I started thinking deeply about the Quran. The words of Allah touched my heart, and I surrendered myself to that path.”

Nusaifa was listening in amazement. He had never thought so deeply about religion in his life. Curiosity grew. Rahmatullah recited to him a verse of the Qur'an:

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ امَنُوا ادْخُلُوا فِي السِّلْمِ كَافَّةً وَلَا تَتَّبِعُوا خُطُوَاتِ الشَّيْطَانِ إِنَّهُ لَكُمْ عَدُوٌّ مُّبِينٌ

Meaning: "O believers! You are in the fullness of Islam Enter and do not follow Satan's path. Indeed, he is your open enemy.” (Surah Al-Baqarah, 2:208)

This verse is deeply scarred in Nusayfa's mind. He starts thinking about every aspect of his life. Is everything really so simple? Is he drowning in some emptiness, which he did not understand before? Rahmatullah's words teach him to think anew.

Chapter Three: The Discovery of Love

Nusayfer is slowly in the midst of these thoughtsH is feelings towards Rahmatullah also began to change. One day he suddenly realizes that he is deeply attracted to Rahmatullah. But he was hesitant. Is this feeling of his just infatuation, or something deeper?

As her love for Rahmatullah grows, Nusayfa realizes that she not only loves Rahmatullah, but is also drawn to his beliefs and philosophy. He became more interested in Islam, started reading Quran, researching various books of hadith.

Chapter Four: The Beginning of a New Life

After a few months of thinking and expressing herself, Nusayfa one day said to Rahmatullah, “I want to accept Islam. I can see how my life is changing.”

Rahmatullah looked in surprise, "Are you sure? It's a big decision, not just for love, it's a whole new lifestyle."

Nusaifa says with confidence in her eyes, “Yes, I am absolutely sure. I want this peace, which Islam has brought me."

Nusaifa accepted Islam after reciting the Kalima. Then came the biggest challenge of his life, his family could not accept his change. His parents threw him out of the house. But Nusayfa remains steadfast. He knew this was the right path for him.

اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ

Meaning: "Allah is the light (light) of the heavens and the earth." (Surah An-Noor, 24:35)

Nusayfa's mind finds strength in this verse. There were many challenges while walking in the path of God, but he believed that this path would give him light.

Chapter Five: The Path of Love and Religion

Nusayfa and Rahmatullah's relationship deepened. Together they take an oath to follow the path of Islam. Both fully embrace Islam in their lives. Rahmatullah stood by Nusayfa, always supporting her.

They marry, and continue to practice the knowledge of Islam even after marriage. Their lives are arranged in the light of Quran and Hadith. By combining their love and faith, they set a new paradigm.

সালমানের আলোর পথে যাত্রা: Salman's Journey to the Light"

 

সালমানের ইসলামের পথে ফিরে আসার গল্প: Salman's inspiring journey towards the path of Islam."

উপন্যাসের নাম: "আলোর পথে সালমান : ইসলামের সত্যি সন্ধানে"

 আধুনিকতার ছায়া সালমান , ঢাকা শহরের একটি নামকরা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করা একজন যুবক। জীবনের সবকিছুই যেন তার হাতে—অর্থ, প্রতিপত্তি, বিলাসিতা। কিন্তু একটি অদৃশ্য শূন্যতা তার মনে ক্রমাগত বাড়ছিল। তার বন্ধু-বান্ধবদের সাথে পার্টি, বিলাসবহুল রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়া, এবং রাতভর মজা-মাস্তিতে দিন কেটে যাচ্ছিল। তবুও, তার মনে শান্তি ছিল না। একদিন গভীর রাতে ঘরে ফিরে সালমান  আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের দিকে তাকায়। হঠাৎই তার মনে হয়, "কোথায় যাচ্ছি আমি? এই জীবন কি আমার জন্য যথেষ্ট?" এমন এক প্রশ্ন তার মাথায় ভর করে, যা সে এড়িয়ে যেতে পারছিল না।

 আলোর আভাস এক রাতে , সালমান বাসায় ফিরতে ফিরতে একটি পুরনো মসজিদের পাশ দিয়ে যাচ্ছিল। হঠাৎই মসজিদ থেকে ভেসে আসা কোরআনের একটি আয়াত তার কানে পৌঁছায়: "إِنَّ هَذَا الْقُرْآنَ يَهْدِي لِلَّتِي هِيَ أَقْوَمُ" (সূরা আল-ইসরা: ৯) অর্থাৎ, 'নিশ্চয়ই এই কোরআন সঠিক পথের দিকে পরিচালিত করে।' সালমানের  অন্তর যেন কেঁপে ওঠে। সে নিজেই না বুঝে মসজিদে ঢুকে যায়। ইমাম সাহেবের কোরআনের সেই আরবী উচ্চারণ তার মনে গভীর দাগ কাটে। ইমামের সাথে সংক্ষিপ্ত আলাপচারিতায় সালমান  বুঝতে পারে, তার জীবনের উদ্দেশ্য শুধু ভোগবিলাস নয়; বরং আল্লাহর পথে ফিরে আসার মাধ্যমে আত্মিক শান্তি অর্জন করা।

 আত্মশুদ্ধির পথে প্রথম ধাপ সালমান  তার জীবনের এক বড় সিদ্ধান্ত নেয়—সে ইসলামের পথ অনুসরণ করবে। সে তার ঘরের সমস্ত বিলাসবহুল সামগ্রী বিক্রি করে দেয় এবং সহজ ও নিরাভরণ জীবনে ফিরে আসে। প্রথমে তার বন্ধু-বান্ধবদের কাছে বিষয়টি ছিল এক অদ্ভুত ঘটনা। অনেকেই তাকে নিয়ে ঠাট্টা করতে শুরু করে। তবে সালমান তাদের কথায় কান না দিয়ে কোরআনের আরও গভীর অধ্যয়ন শুরু করে। এক রাতে সে কোরআনের এই আয়াত পড়ছিল: "فَمَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَعَسَى أَن يَكُونَ مِنَ الْمُفْلِحِينَ" (সূরা কাসাস: ৬৭) অর্থাৎ, 'যে ব্যক্তি তওবা করে, ঈমান আনে, এবং সৎ কাজ করে, সে সফল হতে পারে।' সালমান  উপলব্ধি করে, তার জীবনকে নতুনভাবে সাজাতে হলে প্রথমে নিজের আত্মাকে শুদ্ধ করতে হবে।

 বন্ধুত্ব ও আত্মিক উন্নয়ন সালমানের  পুরনো বন্ধু নুরুজ্জামান , একজন ধর্মপ্রাণ মুসলিম, সালমানের  পরিবর্তন দেখে অনেক খুশি হয়। নুরুজ্জামান  তাকে আরও অনুপ্রেরণা দেয় এবং হাদিসের একটি কথা স্মরণ করিয়ে দেয়: "إِنَّمَا الْاَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ" (হাদিস: সমস্ত কাজের ফলাফল নির্ভর করে নিয়তের উপর)। এই কথাটি সালমানের হৃদয়ে আরও দৃঢ়ভাবে স্থান করে নেয়। নুরুজ্জামান  তাকে প্রতিদিন মসজিদে নিয়ে যায়, কোরআনের ক্লাসে অংশ নিতে সাহায্য করে এবং নিজের জীবনের বিভিন্ন অভিজ্ঞতা শেয়ার করে। একদিন সালমান  নুরুজ্জামানকে  জিজ্ঞাসা করে, "ভাই, তুমি কীভাবে এতটা আত্মিক শান্তি পেলে?" নুরুজ্জামান হেসে বলল, "আল্লাহর ওপর ভরসা এবং কোরআনের প্রতি আন্তরিকতা থাকলে পৃথিবীর কোনো কিছুই আর ভারী মনে হয় না।"

 বছর দুয়েক পর, সালমান  শুধু নিজের জীবনে পরিবর্তন আনেনি; বরং সে তার বন্ধু-বান্ধব, পরিবারের সদস্যদেরও ইসলামের পথে আসার আহ্বান জানায়। অনেকেই তার কথা শুনে নিজেদের জীবনকে নতুনভাবে ভাবতে শুরু করে। সালমানের জীবন এক নতুন পথে প্রবাহিত হয়, যেখানে আল্লাহর সন্তুষ্টি এবং আত্মিক শান্তিই ছিল তার লক্ষ্য। তার জীবনের প্রতিটি মুহূর্তই যেন কোরআনের আয়াতের আলোকে নতুন করে গড়ে উঠেছিল।

উপন্যাসটি এখানেই শেষ হয় না, বরং পাঠকদের মধ্যে একটি অনুপ্রেরণা ছড়িয়ে দেয়—যেকোনো পরিস্থিতিতেই ইসলামের পথে ফিরে আসা সম্ভব এবং এই পথেই প্রকৃত শান্তি ও সাফল্য নিহিত।

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

Title: "Salman 's Journey to the Light: Seeking the Truth of Islam"

Chapter 1: Shadows of Modern Life

Salman , a young man working in a prestigious company in Dhaka, seemed to have everything—wealth, status, luxury. Yet, deep inside, he felt an unexplainable void growing with each passing day. His life was filled with endless parties, expensive dinners, and late-night gatherings with friends. Despite all this, peace eluded him. One night, as he stood before the mirror, gazing at his reflection, a haunting question came to his mind: "Where am I heading? Is this all life has to offer?" This question lingered in his mind, refusing to go away.

Chapter 2: A Glimpse of Light

One evening, as Salman was walking home, he passed by an old mo que. The sound of a Qur'anic recitation filled the air: "Indeed, this Qur'an guides to that which is most right..." (Surah Al-Isra: 9). Salman felt something stir deep within his heart. Almost instinctively, he stepped inside the mosque. The Imam's recitation in Arabic left a profound impact on him. After a brief conversation with the Imam, Salman  realized that his life's purpose wasn't found in worldly pleasures but in returning to the path of Allah, where true peace resides.

Chapter 3: The First Step Towards Self-Purification

Determined to change, Salman  made a life-altering decision—to follow the path of Islam. He sold off his luxury items and adopted a simple lifestyle. His friends were baffled by his transformation, and some even mocked him. But Salman  paid no heed. He began to study the Qur'an more deeply. One night, he came across the verse: "But as for him who repents, believes, and does righteous deeds, it is hoped that he will be among the successful." (Surah Al-Qasas: 67). Salman  realized that to rebuild his life, he first needed to cleanse his soul.

Chapter 4: Friendship and Spiritual Growth

Salman 's old friend Nurul Zaman , a devout Muslim, was thrilled by Salman's transformation. Ilyas encouraged him further and reminded him of a famous hadith: "Actions are judged by intentions." (Hadith). This hadith struck a deep chord within Salman. nooruzzaman  would take him to the mosque every day, introduce him to Qur'anic study circles, and share his own experiences of spiritual growth. One day, Salman asked Ilyas, "Brother, how did you find such peace?" Ilyas smiled and said, "When you trust Allah and are sincere with the Qur'an, nothing in this world feels too heavy anymore."

Chapter 5: A New Beginning and Allah's Pleasure

Two years later, Salman had not only transformed his own life but had also started guiding his friends and family towards Islam. Many of them began to rethink their own lives after listening to him. Salman's journey led him to a new path, where the pursuit of Allah's pleasure and inner peace became his ultimate goal. Every moment of his life now seemed to be built around the teachings of the Qur'an.

The novel doesn't end here; rather, it leaves the readers with a powerful message—no matter the circumstances, returning to the path of Islam is always possible, and it is on this path that true peace and success lie.

Author:Maulana Md. Sakib

"আলোতে ফিরে আসা: ইসলামের পথে তাওহীদের যাত্রা | The Return to Light: tauhid 's Journey Towards Islam"

তাওহীদের জীবনের আলোর পথে ফিরে আসার প্রতীকী ছবি, যা ইসলামের পথে তার যাত্রাকে তুলে ধরে। 

প্রথম অধ্যায়: দুনিয়ার প্রতি আসক্তি

তাওহীদ যখন দুনিয়ার লোভে অন্ধ হয়ে যাচ্ছিল, সে ভুলে যাচ্ছিল জীবনের প্রকৃত উদ্দেশ্য। দুনিয়ার সাফল্যই তার কাছে প্রধান হয়ে দাঁড়ায়। এই অবস্থায় আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন:

"اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ"

“জেনে রাখ, দুনিয়ার জীবন কেবল খেলা, বিলাসিতা, সৌন্দর্য, তোমাদের মধ্যে অহংকারের প্রতিযোগিতা এবং ধন-সম্পদ ও সন্তানদের সংখ্যাবৃদ্ধি ছাড়া কিছুই নয়।”

— (সূরা আল-হাদীদ, ৫৭:২০)

দ্বিতীয় অধ্যায়: মায়ের চোখের পানি

তাওহিদের মা উম্মে সালমা ছিলেন একজন ধার্মিক নারী, যিনি সবসময় আল্লাহর কাছে তার ছেলের হিদায়াতের জন্য দোয়া করতেন। পবিত্র কুরআনে মায়ের প্রার্থনার গুরুত্ব সম্পর্কে বলা হয়েছে:

"وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا۟ إِلَّا إِيَّاهُ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَٰنًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ ٱلْكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوْ كِلَٰهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّۢ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًۭا كَرِيمًۭا"

“তোমার প্রতিপালক নির্দেশ দিয়েছেন যে, তাঁকে ছাড়া অন্য কারো ইবাদত করো না এবং পিতামাতার প্রতি সদ্ব্যবহার করো। তাদের একজন অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবনে বার্ধক্যে উপনীত হন, তবে তাদের ‘উফ্’ পর্যন্ত বলো না এবং তাদের ধমক দিও না; বরং তাদের সাথে সদাচরণের কথা বলো।”

— (সূরা আল-ইসরা, ১৭:২৩)

তৃতীয় অধ্যায়: স্বপ্নে আলোর পথ

তাওহীদ  তার স্বপ্নে আলোর পথ দেখতে পায়। তার জন্য এটা ছিল আল্লাহর পক্ষ থেকে একটি হিদায়াতের নির্দেশনা। হাদিসে পবিত্র কুরআনের আলোকে আল্লাহর হিদায়াতের গুরুত্ব সম্পর্কে বর্ণিত হয়েছে:

"مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِي وَمَنْ يُضْلِلْ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ"

“যাকে আল্লাহ্‌ পথ দেখান, সে-ই সঠিক পথে চলবে। আর যাকে তিনি পথভ্রষ্ট করেন, তারাই প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত।”

— (সূরা আল-আরাফ, ৭:১৭৮)

চতুর্থ অধ্যায়: ইসলামের পথে ফেরা

তাওহীদ  ইসলামের পথে ফিরে আসতে শুরু করে এবং আল্লাহর প্রতি তার পূর্ণ বিশ্বাস ও তওবা করে। মহান আল্লাহ তওবার গুরুত্ব সম্পর্কে বলেছেন:

"قُلْ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ"

“বল, ‘হে আমার বান্দারা, যারা নিজেদের ওপর সীমালঙ্ঘন করেছো, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সকল পাপ ক্ষমা করেন। নিশ্চয়ই তিনি অতি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।’”

— (সূরা আয-যুমার, ৩৯:৫৩)

পঞ্চম অধ্যায়: সমাজে পরিবর্তনের সূচনা

তাওহীদ তার জীবনের পরিবর্তনের মাধ্যমে সমাজের যুবকদেরও ইসলামের পথে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু করে। এই দাওয়াহ ও ইসলামী শিক্ষা প্রসঙ্গে আল্লাহ বলেছেন:

"وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًۭا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحًۭا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ"

“আর সেই ব্যক্তির চেয়ে উত্তম কথা আর কার হতে পারে, যে আল্লাহর দিকে আহ্বান জানায়, সৎকর্ম করে এবং বলে, ‘আমি তো মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত।’”

— (সূরা ফুসসিলাত, ৪১:৩৩)

লেখক: মাওলানা মোহাম্মদ সাকিব

The Miraculous Return: On the Path of Light"

Chapter 1: Attachment to the World

tauhid was becoming blind in his greed for worldly gains, forgetting the true purpose of life. Success in the worldly sense became his primary goal. In this context, Allah Almighty mentions in the Holy Quran:

"اعْلَمُوا أَنَّمَا الْحَيَاةُ الدُّنْيَا لَعِبٌ وَلَهْوٌ وَزِينَةٌ وَتَفَاخُرٌ بَيْنَكُمْ وَتَكَاثُرٌ فِي الْأَمْوَالِ وَالْأَوْلَادِ"

“Know that the life of this world is but play, amusement, beauty, boasting amongst yourselves, and competing in wealth and children.”

— (Surah Al-Hadid, 57:20)

Chapter 2: A Mother's Tears

tauhid s mother Umme Salma was a pious woman who always prayed to Allah for her son’s guidance. The importance of a mother’s prayer is mentioned in the Quran:

"وَقَضَىٰ رَبُّكَ أَلَّا تَعْبُدُوا۟ إِلَّا إِيَّاهُ وَبِٱلْوَٰلِدَيْنِ إِحْسَٰنًا ۚ إِمَّا يَبْلُغَنَّ عِندَكَ ٱلْكِبَرَ أَحَدُهُمَآ أَوْ كِلَٰهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَآ أُفٍّۢ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًۭا كَرِيمًۭا"

“Your Lord has decreed that you worship none but Him and that you be dutiful to your parents. If one of them or both of them reach old age while with you, say not to them a word of contempt, nor repel them but speak to them a noble word.”

— (Surah Al-Isra, 17:23)

Chapter 3: A Dream of Light

tauhid  saw a path of light in his dream. For him, it was a divine sign of guidance. In the Quran, it is said regarding the importance of Allah’s guidance:

"مَنْ يَهْدِ اللَّهُ فَهُوَ الْمُهْتَدِي وَمَنْ يُضْلِلْ فَأُولَئِكَ هُمُ الْخَاسِرُونَ"

“Whoever Allah guides, he is rightly guided. And whoever He sends astray, they are the losers.”

— (Surah Al-A'raf, 7:178)

Chapter 4: Returning to the Path of Islam

tauhid began his journey back to Islam, seeking Allah’s mercy and repenting for his past. Allah the Almighty speaks about the importance of repentance:

"قُلْ يَٰعِبَادِيَ ٱلَّذِينَ أَسْرَفُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ لَا تَقْنَطُوا۟ مِن رَّحْمَةِ ٱللَّهِ ۚ إِنَّ ٱللَّهَ يَغْفِرُ ٱلذُّنُوبَ جَمِيعًا ۚ إِنَّهُۥ هُوَ ٱلْغَفُورُ ٱلرَّحِيمُ"

“Say, ‘O My servants who have transgressed against themselves, do not despair of the mercy of Allah. Indeed, Allah forgives all sins. Indeed, it is He who is the Forgiving, the Merciful.’”

— (Surah Az-Zumar, 39:53)

Chapter 5: Initiating Change in Society

With the change in his own life, tauhid  began encouraging the youth in his society to follow the path of Islam. Regarding calling others to Islam, Allah says:

"وَمَنْ أَحْسَنُ قَوْلًۭا مِّمَّن دَعَآ إِلَى ٱللَّهِ وَعَمِلَ صَٰلِحًۭا وَقَالَ إِنَّنِى مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ"

“And who is better in speech than the one who invites to Allah, does righteous deeds, and says, ‘Indeed, I am among the Muslims.’”

— (Surah Fussilat, 41:33)

---

Author:Maulana Md. Sakib