উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
পর্ব ৪: গোপন জগতের দ্বার খুলে যায়
হাসান কাগজের টুকরোটি হাতে নিয়ে বসে রইল। "আঁধারের সীমানা পেরিয়ে আসবে কি?"—এই কথাগুলো তার মনে যেন গভীর দাগ কেটে গেল।
এটা কি কোনো ইঙ্গিত? নাকি কারও খেলা?
সে জানত না, কিন্তু তার মন বলছিল, এর পেছনে কিছু একটা আছে।
রহস্যময় দরজা
সারারাত ঘুম এল না। সকাল হতে না হতেই হাসান তার দাদার পুরোনো লাইব্রেরিতে চলে গেল। সে সেই কিতাবটি খুঁজছিল, যেখানে জিন ও পরীদের নিয়ে লেখা ছিল।
দীর্ঘ খোঁজাখুঁজির পর এক কোণে ধুলোপড়া একটি পাতা পেল। সেখানে লেখা ছিল:
"যারা অজানা জগতে প্রবেশ করতে চায়, তাদের জন্য দুটি পথ খোলা থাকে—একটি সত্যের, একটি বিভ্রমের।"
এই লাইনটি পড়তেই হাসান অনুভব করল, যেন কাগজের টুকরোটির সঙ্গে এর গভীর সম্পর্ক আছে।
কিন্তু কোনটি সত্যের পথ? কোনটি বিভ্রমের?
রাতের অদ্ভুত ঘটনা
সেদিন রাতে হাসান অদ্ভুত কিছু স্বপ্ন দেখল।
সে দেখল, একটি দরজা তার সামনে। দরজাটির গায়ে অদ্ভুত নকশা আঁকা, যার মাঝখানে জ্বলজ্বল করছে একটি চাঁদের প্রতিচ্ছবি।
হঠাৎ দরজার ওপাশ থেকে সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর ভেসে এল।
"তুমি কি সত্যিই আসতে চাও?"
হাসান বুঝতে পারল, এটি সেই পরীর কণ্ঠস্বর, যাকে সে স্বপ্নে দেখেছিল।
সে কি এগিয়ে যাবে? নাকি পিছু হটবে?
জেগে ওঠার পর
হঠাৎ হাসানের ঘুম ভেঙে গেল। সে দ্রুত উঠে বসল।
ঘরের কোণে আলো ঝলমল করছিল, যেন কোনো সত্তা মাত্র কয়েক মুহূর্ত আগেই সরে গেছে।
হাসান জানালার বাইরে তাকাল। চাঁদের আলোয় সে দেখল—দূরে, গাছের ছায়ায় কেউ যেন দাঁড়িয়ে আছে।
এ কি তার কল্পনা? নাকি সত্যিই কেউ তাকে অনুসরণ করছে?
লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব
(পরবর্তী পর্ব: হাসানের সিদ্ধান্ত—সে কি পরীর ডাকে সাড়া দেবে?)