GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

মাইমুনার শূন্য হাত: এক মর্মান্তিক কান্নার গল্প।

 

শূন্য হাতের কান্না

শূন্য হাতে দাঁড়িয়ে থাকা এক মর্মান্তিক ভাগ্যের প্রতিচ্ছবি—মাইমুনার কান্না ও ধৈর্যের গল্প।"

মাইমুনার শূন্য হাতে শুধু ধৈর্যের গল্প, চোখে অশ্রু আর হৃদয়ে দুঃখের বোঝা।"

প্রস্তাবনা 

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা'আলা বলেছেন:

فَإِنَّ مَعَ ٱلْعُسْرِ يُسْرًا ۝ إِنَّ مَعَ ٱلْعُسْرِ يُسْرًا
“নিশ্চয়ই কষ্টের সঙ্গে রয়েছে স্বস্তি। আবারও বলছি, কষ্টের সঙ্গেই রয়েছে স্বস্তি।”
—(সুরাহ আল-ইনশিরাহ: ৫-৬)

কিন্তু কখনো কখনো এই স্বস্তি আসতে দেরি হয়, আর মানুষের জীবন হয়ে যায় এক দুঃখের মহাকাব্য।


গল্প: শূন্য হাতের কান্না

মাইমুনার জীবন শুরু হয়েছিল খুব সাধারণভাবে। সে ছিল এক পর্দানশীন, দ্বীনদার মেয়ে। বাবা-মায়ের আদরে বেড়ে উঠেছিল সে। কিন্তু সময় তার জন্য ভিন্ন এক বাস্তবতা লিখে রেখেছিল।

প্রথম বিয়ে: স্বপ্নভঙ্গের সূচনা

মাইমুনার প্রথম বিয়ে হয়েছিল এক দ্বীনদার ছেলে মিরাজের সঙ্গে। তার মনে আশা ছিল, জীবন হবে জান্নাতের পথের এক সুন্দর সাথী। কিন্তু বিয়ের কিছুদিন পরেই দেখা গেল, মিরাজ ছিল খুবই গোঁড়া প্রকৃতির। ভালোবাসার বদলে শুধু কঠোরতা আর শাসনই ছিল তার কাছে স্বামীসুলভ আচরণ।

মাইমুনা ধৈর্য ধরল। রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন:
وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ
“ধৈর্য হলো এক আলো।”
—(মুসলিম: ২২৩)

কিন্তু সেই আলো আসেনি। বরং দিনের পর দিন নির্যাতন বাড়তেই থাকল। একদিন, অত্যাচারের চূড়ান্ত সীমায় পৌঁছে, স্বামী মিরাজ তাকে তালাক দিয়ে বের করে দিলো—শূন্য হাতে, চোখে অশ্রু নিয়ে।


দ্বিতীয় বিয়ে: আশা ও হতাশা

বাবা-মা অনেক কষ্ট করে মাইমুনার দ্বিতীয় বিয়ের ব্যবস্থা করলেন। এবার স্বামী একজন ব্যবসায়ী। মাইমুনা ভাবল, এবার হয়তো সুখের দিন আসবে।

কিন্তু কিছুদিন পর সে বুঝতে পারল, তার স্বামী প্রতারণা করে টাকা উপার্জন করে। হারাম উপায়ে উপার্জিত টাকা নিয়ে সে বড়লোক সেজে থাকে।

মাইমুনা দ্বীনের পথে থাকায় এসব মেনে নিতে পারল না। সে স্বামীকে কুরআনের আয়াত শুনিয়ে সতর্ক করল:

يٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَأْكُلُوا۟ ٱلرِّبَوٰٓا۟ أَضْعَٰفًا مُّضَٰعَفَةً ۖ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা সুদ দ্বিগুণ-চৌগুণ করে খেয়ো না এবং আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো।”
—(সুরাহ আল-ইমরান: ১৩০)

কিন্তু স্বামী শোনেনি। বরং মাইমুনার দ্বীনদারিত্বই তার জন্য কাল হয়ে দাঁড়াল। একদিন, কোনো কারণ ছাড়াই স্বামী তাকে তালাক দিয়ে দিলো। মাইমুনা আবারও পথে দাঁড়িয়ে রইল—শূন্য হাতে।


তৃতীয় বিয়ে: ভয়ংকর পরিণতি

একজন মধ্যস্থতাকারী বললেন, “মাইমুনা, এবার এমন একজনকে স্বামী বানাও, যে তোমাকে সত্যিকারের ভালোবাসবে।”

মাইমুনা এবার বিয়ে করল এক রুক্ষ, ছন্নছাড়া স্বামীকে। সে ছিল মাদকাসক্ত, আগের তিন স্ত্রীকে নির্যাতন করে বের করে দিয়েছিল। কিন্তু মাইমুনার  কপালে ছিল চতুর্থ স্ত্রীর ভাগ্য।

প্রতিদিন নির্যাতন, অভুক্ত থাকা, ঘরের দরজা আটকে রাখা—এসবই ছিল তার জীবন। সে কোনোদিন কল্পনাও করেনি, একদিন তার জীবন এমন হবে।

তবু সে ধৈর্য ধরত। আল্লাহর কাছে দোয়া করত। কুরআনের আয়াত মুখস্থ করত:

إِنَّ ٱللَّهَ مَعَ ٱلصَّٰبِرِينَ
“নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সঙ্গে আছেন।”
—(সুরাহ আল-বাকারা: ১৫৩)

কিন্তু ধৈর্যের সীমা একদিন শেষ হয়ে যায়। এক রাতে, তার স্বামী নেশার ঘোরে এসে তাকে এমন মারধর করল যে, সে আধমরা হয়ে পড়ল।

পরের দিন সকালে, তাকে রাস্তায় ফেলে রেখে স্বামী চলে গেল—এই বলে যে, “তালাক! তালাক! তালাক!”

মাইমুনা আবারও একা, পথে, শূন্য হাতে।


শেষ দৃশ্য: নিরবে কান্না

মাইমুনা ভিক্ষা করতে লাগল। একসময় কেউ তাকে আর চিনত না। সে এক মসজিদের পাশে বসে থাকত, ছেঁড়া ওড়না দিয়ে মাথা ঢেকে। একদিন এক শিশু এসে তার হাতে কিছু খাবার দিলো।

মাইমুনা শিশুটির মাথায় হাত বুলিয়ে দিলো। তার চোখ দিয়ে টুপটুপ করে পানি পড়ছিল। সে মনে মনে বলল:

يَا أَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱصْبِرُوا۟ وَصَابِرُوا۟ وَرَابِطُوا۟ وَٱتَّقُوا۟ ٱللَّهَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
“হে ঈমানদারগণ! তোমরা ধৈর্য ধারণ করো, প্রতিদ্বন্দ্বিতা করো, সংযম অবলম্বন করো, এবং আল্লাহকে ভয় করো—যাতে তোমরা সফল হতে পারো।”
—(সুরাহ আল-ইমরান: ২০০)

তারপর সে মসজিদের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করল।

মাইমুনা চলে গেল।
কিন্তু তার শূন্য হাত, তার কান্না—আজও বাতাসে ভাসে।


শেষ কথা

এ গল্প কেবল মাইমুনার নয়, এমন অনেক মেয়ের, যারা বিয়ের পর বারবার প্রতারিত হয়, অথচ ধৈর্য ধরে বেঁচে থাকে। ইসলাম নারীদের সম্মান দিয়েছে, কিন্তু কিছু মানুষ তাদের সাথে পণ্যসুলভ আচরণ করে।

কেউ কি মাইমুনাদের জন্য কিছু করবে?

আপনি কি মাইমুনাদের কান্না শুনতে পাচ্ছেন?

লেখক মাওলানা মোঃ সাকিব 

মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

কষ্টের পথ ও মর্মান্তিক পরিণতি: আল্লাহর রহমত ও ধৈর্যের ফল"

 গল্প: "কষ্টের পথ এবং এর করুন পরিণতি"

একটি ছেলে তার জীবনপ্রাপ্ত ভালোবাসা হারিয়ে কষ্ট পায়। মেয়েটি খারাপ সিদ্ধান্ত নিয়ে তার জীবন ধ্বংস করে, কিন্তু ধৈর্য ধারণের মাধ্যমে আল্লাহ তাকে পুরস্কৃত করেন। গল্পটি মর্মান্তিক পরিণতি এবং আল্লাহর রহমত ও দয়া সম্পর্কে।"
কষ্টের পরিণতি এবং আল্লাহর রহমত—একটি মর্মান্তিক গল্পের চিত্র"

ফরহাদের জীবনে একসময় ছিল শান্তি, ছিল সুখ। সে তার প্রিয় মেয়েটি, মুক্তা, কে বিয়ে করেছিল, কিন্তু কিছু দিন পর মেয়েটি তার সাথে অস্থির এবং একেবারে অমনের আচরণ শুরু করেছিল। একে একে মেয়েটির মন বদলে গিয়েছিল, এবং ফরহাদকে কষ্ট দিতে দিতে একদিন সে তাকে ছেড়ে চলে যায়।

এটি ছিল ফরহাদের জীবনের সবচেয়ে বড় ধাক্কা। সে একাকী, ক্ষুব্ধ, এবং বিষণ্ন হয়ে পড়েছিল। তার মনে একটাই চিন্তা ঘুরতো—এত কষ্টের পরেও কেন আল্লাহ তাকে একা রেখে গেল? দিনরাত সে মাঠে, বনে, জঙ্গলে ঘুরে বেড়াত, কাঁদত। কখনো ভাবত আত্মহত্যার বিষয়ে, কিন্তু কিছুতেই শান্তি পেত না। মনের ভেতর এক দুঃস্বপ্নের মত অনুভূতি তাকে গ্রাস করেছিল।

মুক্তা, যিনি একসময় তার সুখের কারণ ছিল, তার জীবনের সমস্ত স্বপ্ন শেষ করে চলে গিয়েছিল। তবে তার জীবন যে কখনো শান্তি পাবে না, সেটি সে জানত না। এক সময়, মুক্তা অন্য একটি ছেলে সাব্বিরকে বিয়ে করল, যিনি ছিল অত্যন্ত খারাপ স্বভাবের। এই ছেলেটি ছিল এক ভয়ানক মাদকাসক্ত, যার চরিত্র ছিল একদম নিষ্ঠুর। মেয়েটি, যাকে একসময় আল্লাহর রহমতের ছায়ায় সংসার করার স্বপ্ন দেখিয়েছিল, তাকে এই নিষ্ঠুর স্বামীর দখলে পড়ে অসহ্য কষ্টের মধ্যে দিন কাটাতে হল।

প্রথমে, মুক্তা বুঝতে পারেনি, কিন্তু কিছুদিন পর সে জানল যে, এই নতুন স্বামী সাব্বির একবার  নয়, তিনবার বিয়ে করেছিল এবং তার আগের স্ত্রীরা তার অত্যাচারে চলে গিয়েছিল। এই স্বামী ছিল মাদকাসক্ত, তাকে ঘিরে ছিল মারধর, তিক্ততা, আর নিপীড়ন। মুক্তার জীবনও যে কতটা ধ্বংস হতে চলেছে, সে তা অনুভব করতে শুরু করল, কিন্তু তখন আর কোনো পথ ছিল না। তার নতুন সংসার, যা সে ভেবেছিল সুখী হবে, তাও অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়ে গেল।

এদিকে, ফরহাদের জীবনে আল্লাহর রহমত আসতে দেরি হয়নি। আল্লাহ তার ধৈর্য্যের ফলস্বরূপ তাকে পুরস্কৃত করলেন। তিনি তার জীবনে শান্তি ফিরিয়ে আনলেন এবং ফরহাদ আবার নতুন করে জীবনের উদ্দেশ্য খুঁজে পেলেন। কিন্তু মুক্তার জন্য সেই পুরস্কার আসল না। তার দুনিয়া একেবারে অন্ধকারে ডুবে গেল।

কোরআনে আল্লাহ বলেন, "وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَلْ لَهُ مَخْرَجًا" — "আর যে আল্লাহকে ভয় করবে, আল্লাহ তাকে সর্বোত্তম পথ দেখাবেন।" (সূরা তালাক, 65:2)

এছাড়া, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, "যে ব্যক্তি অন্যকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তার প্রতি কষ্ট আনেন।" (সহীহ মুসলিম)

মুক্তার জিবন ছিল একসময় আলো, কিন্তু তার শয়তানি ও কষ্ট দেওয়ার কারণে সে ধ্বংস হয়ে গিয়েছিল। আল্লাহ তাকে সে কষ্টের পরিণতি দিয়েছেন, কারণ সে কাউকে কষ্ট দিয়েছিল। মেয়েটির দুঃখের কথা, তার নতুন স্বামী, সব কিছুই একে একে মর্মান্তিক পরিণতির দিকে নিয়ে গেল।

এদিকে, ফরহাদ, যিনি ধৈর্য ধারণ করে আল্লাহর প্রতি আস্থা রেখেছিল, তার জীবন ধীরে ধীরে পুনরুদ্ধার হল এবং আল্লাহ তাকে শান্তি, সুখ, এবং সফলতা দান করলেন।

"إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ" — "নিশ্চয়ই আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন।" (সূরা আল-বাকারাহ, 2:153)

লেখক মাওলানা মোঃ সাকিব 


এখন, এই গল্পের মর্মার্থ হল, আমাদের কষ্টের পরও আল্লাহর উপর বিশ্বাস রাখলে, এবং মানুষকে কষ্ট না দিয়ে সহানুভূতিপূর্ণ জীবন কাটালে, আল্লাহ আমাদেরকে সর্বোত্তম পুরস্কার দিবেন।


লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

সোমবার, ৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

অন্ধকারের বন্দী দশা থেকে মুক্তির আলো।

 অন্ধকারের বন্দিদশা থেকে মুক্তির আলো

অন্ধকার যতই গভীর হোক, আল্লাহর রহমতের আলো সবকিছু আলোকিত করে। ন্যায়ের পথে অটল থাকলে মুক্তি আসবেই।"
যখন জীবনের পথ অন্ধকারে পরিণত হয়, আল্লাহর রহমত সেই পথকে আলোয় পূর্ণ করে।"


প্রথম অধ্যায়: নির্মম নিয়তি

জার্মানের এক সম্ভ্রান্ত ব্যবসায়ী আলহাজ্জ আবদুল বাছেতের একমাত্র কন্যা ছিল হালিমা। তার রূপ ছিল চাঁদের আলোকে হার মানানোর মতো, চরিত্র ছিল মায়ের গড়া সোনার মতো পবিত্র। কিন্তু নিয়তির নির্মম পরিহাসে একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে কিছু দুর্বৃত্ত তাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

পিতা-মাতা ক্রন্দনরত, পুলিশ প্রশাসন ব্যর্থ, মাসের পর মাস কেটে যায়—কোনো সন্ধান মেলে না। একসময় পরিবারের ধারণা হয়, হয়তো সে মৃত। কিন্তু আসলে হালিমাকে পাচার করা হয়েছিল এক নিষিদ্ধ জগতে, যেখানে মানুষের ন্যায়বোধ বিলীন, যেখানে নারীদের শরীর হয় শুধুই বাণিজ্যের পণ্য।

দ্বিতীয় অধ্যায়: অনন্ত অন্ধকারের জিন্দান

হালিমাকে বন্দি করে রাখা হয় এক অন্ধকার ঘরে, যেখানে দিন ও রাতের পার্থক্য বোঝা যায় না। প্রতিদিনই তাকে ভয় দেখানো হতো, তার আত্মসম্মান বিকিয়ে দিতে বাধ্য করার চেষ্টা চলত। কিন্তু সে দৃঢ় ছিল, আল্লাহর উপর তার অবিচল বিশ্বাস ছিল। সে প্রতিটি রাত কাঁদতে কাঁদতে দোয়া করত:

اللَّهُمَّ اجْعَلْ لِي مِنْ أَمْرِي فَرَجًا وَمَخْرَجًا

"হে আল্লাহ! আমার জন্য এ অবস্থা থেকে মুক্তি ও পথপ্রদর্শন দান করুন।"

কুরআনের আয়াত মনে পড়ত:

وَمَن يَتَّقِ ٱللَّهَ يَجْعَل لَّهُۥ مَخْرَجًۭا وَيَرْزُقْهُ مِنْ حَيْثُ لَا يَحْتَسِبُ

"যে ব্যক্তি আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্য উদ্ধার ও রিজিকের ব্যবস্থা এমনভাবে করেন, যা সে কল্পনাও করতে পারে না।" (সূরা তালাক: ২-৩)

এই আয়াত তাকে শক্তি দিত, সে জানত আল্লাহ তার দু'আ শুনছেন।

তৃতীয় অধ্যায়: মুক্তির অভিযাত্রা

একদিন এক দয়ালু গোয়েন্দা কর্মকর্তা, ইমাম হোসেইন, এই ভয়ংকর চক্রের সন্ধান পান। তিনি ও তার দল এক গোপন অভিযান চালিয়ে এই নারীকেন্দ্রিক পাচারচক্রকে ভেঙে ফেলেন। হালিমাকে সেই জাহান্নাম থেকে উদ্ধার করা হয়।

তার চোখে পানি, অন্তরে শোক—কিন্তু মুখে কৃতজ্ঞতার তাসবিহ:

ٱلْحَمْدُ لِلَّهِ ٱلَّذِى نَجَّىٰنَا مِنَ ٱلْقَوْمِ ٱلظَّـٰلِمِينَ

"সকল প্রশংসা সেই আল্লাহর, যিনি আমাদের জালিমদের কবল থেকে মুক্তি দিয়েছেন।" (সূরা মুমিনুন: ২৮)

হালিমা ফিরে যায় তার পরিবারের কাছে। তারা তাকে আদরে বরণ করে নেয়। এই দুঃসহ অভিজ্ঞতা তার জীবনকে বদলে দেয়। সে নারীদের জন্য একটি সংগঠন তৈরি করে, যাতে কেউ আর এমন নির্মম পরিণতির শিকার না হয়।

শেষ কথা

এই গল্প আমাদের শেখায়, পৃথিবীতে যতই অন্ধকার থাকুক না কেন, আল্লাহর রহমত ও ন্যায়ের আলো কখনো নিভে না। আল্লাহ বলেন:

إِنَّ مَعَ ٱلْعُسْرِ يُسْرًۭا

"নিশ্চয়ই কষ্টের পর স্বস্তি রয়েছে।" (সূরা ইনশিরাহ: ৬)

এই আয়াতই আমাদের আশা ও ভরসার আলো হয়ে থাকে।

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব