GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

শুক্রবার, ৭ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ২৫: অশুভ শক্তির ফিরে আসা—হাসানের ঈমানের কঠিন পরীক্ষা

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"হাসানর সামনে সবচেয়ে ভয়ংকর চ্যালেঞ্জ—সে কি সত্যের পথে অবিচল থাকবে?"
সত্যের পথে বড় পরীক্ষা— হাসান কি এই বিপদ কাটিয়ে উঠতে পারবে?"



র্ব ২৫: অশুভ শক্তির ফিরে আসা—হাসানের ঈমানের কঠিন পরীক্ষা

হাসান ভেবেছিল, সে ফিরে এসে সত্যের পথে মানুষকে ডাকবে, শান্তির বার্তা ছড়াবে। কিন্তু সে জানত না, তার সামনে অপেক্ষা করছে এমন এক চ্যালেঞ্জ, যা তার ঈমানকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে।

নতুন সংকটের সূচনা

একদিন রাতে হাসান যখন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরছিল, তখন হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করল। চারপাশ যেন মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে গেল।

"এটা কী হচ্ছে?" হাসান মনে মনে ভাবল।

ঠিক তখনই তার সামনে এক অদ্ভুত ছায়ামূর্তি দেখা গেল। সেটি ধীরে ধীরে রূপ নিতে লাগল, আর হাসান হতভম্ব হয়ে পড়ল।

"তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছো?" গভীর, কর্কশ এক কণ্ঠস্বর ভেসে এল।

অতীতের শত্রুর ফিরে আসা

হাসান হঠাৎ বুঝতে পারল—এ তো সেই অশুভ শক্তি, যে পরীদের রাজ্যে তাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল!

"তুমি তো এখান থেকে চলে গিয়েছিলে!" হাসান দৃঢ় কণ্ঠে বলল।

"হ্যাঁ, কিন্তু আমি তো ফিরে এসেছি! তুমি ভাবছো, শুধু পরীদের রাজ্যেই আমাদের ক্ষমতা ছিল? না, আমরা এই দুনিয়াতেও কাজ করি, এবং আমরা তোমাকে ধ্বংস করব!"

হাসান বুঝতে পারল, এটি আরেকটি পরীক্ষা।

কুরআনের শক্তি

সে দৃঢ়ভাবে বলল, "আমি আল্লাহর সাহায্য চাইছি, তোমাদের মতো অশুভ শক্তি আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না!"

সে সাথে সাথে আয়াতুল কুরসী পড়তে লাগল—

"আল্লাহ! তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, শাশ্বত সত্তা। তাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করে না..."
(সূরা বাকারা: ২৫৫)

তারপর মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছায়ামূর্তি কেঁপে উঠল, যেন আগুনে পোড়ার মতো ব্যথায় ছটফট করছে।

একটি নতুন সংকল্প

হাসান বুঝতে পারল, এই দুনিয়াতেও শয়তানের ফাঁদ সর্বত্র। শুধু জিন-পরীর রাজ্যে নয়, মানুষকেও বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তান সবসময়ই তৎপর।

সেই রাতে সে দৃঢ় সংকল্প করল—

"আমি কখনো সত্যের পথ ছাড়ব না, যত বিপদই আসুক না কেন!"

কিন্তু সে জানত না, সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপদ…

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের সবচেয়ে বড় পরীক্ষা—বিশ্বাস নাকি ধোঁকা?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

বৃহস্পতিবার, ৬ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ২৪: পরীর রাজ্য ছেড়ে হাসানের ফিরে আসা—নতুন চ্যালেঞ্জের শুরু

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

পরীর রাজ্য থেকে ফিরে এসে হাসান কি সত্যের পথে হাঁটবে, নাকি দুনিয়ার ফিতনায় হারিয়ে যাবে?"
পরীর রাজ্য থেকে ফিরে এসে হাসান কি এবারও সত্যের পথ ধরে রাখতে পারবে?"

পর্ব ২৪: পরীর রাজ্য ছেড়ে হাসানের ফিরে আসা—নতুন চ্যালেঞ্জের শুরু

হাসান ধীরে ধীরে আলোর মাঝে হারিয়ে গেল। যখন সে চোখ খুলল, দেখল নিজেকে তার গ্রামের এক পরিচিত পথের পাশে। রাতের নীরবতা চারদিকে ছড়িয়ে আছে, বাতাসে নামাজের জন্য আজানের সুর ভেসে আসছে।

"আমি কি স্বপ্ন দেখছিলাম? নাকি সত্যিই এতদিন পর ফিরে এলাম?" হাসান নিজের হাত স্পর্শ করে দেখতে লাগল।

কিন্তু হঠাৎ…

তার কানে ভেসে এল কিছু মানুষের গুঞ্জন। সে সামনে এগিয়ে গিয়ে দেখল, গ্রামের কয়েকজন যুবক নেশাগ্রস্ত অবস্থায় এক অসহায় লোককে মারধর করছে।

সত্যের আলো ছড়ানোর সংকল্প

হাসান বুঝতে পারল, তার জগতে সমস্যা আগের মতোই রয়ে গেছে। মানুষ সত্য থেকে দূরে, শয়তানের ধোঁকায় বিভ্রান্ত।

সে মনে মনে বলল, "আমি কি শুধু পরীদের রাজ্য রক্ষা করতে ফিরে গিয়েছিলাম? নাকি আমার আসল দায়িত্ব এখানে?"

"তোমাদের কি আল্লাহর ভয় নেই?" হাসান দৃঢ় কণ্ঠে বলে উঠল।

সেই যুবকরা এক মুহূর্ত থমকে গেল। তারপর তাদের মধ্যে একজন বলল, "তুই কে রে? আমাদের কাজে নাক গলাবি না!"

হাসান ধৈর্য ধরে বলল, "আমি শুধু বলতে চাই, আমরা কি একদিন মরব না? কিয়ামতের দিন আমরা কী জবাব দেব?"

তাদের একজন কিছুটা চিন্তিত হয়ে পড়ল, কিন্তু অন্যরা উপহাস করতে লাগল।

কুরআনের আলোতে পরিবর্তন

হাসান তাদের সামনে কুরআনের একটি আয়াত তুলে ধরল—

"যে ব্যক্তি এক প্রাণকে হত্যা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করল, আর যে ব্যক্তি এক প্রাণকে রক্ষা করল, সে যেন সমগ্র মানবজাতিকে রক্ষা করল।"
(সূরা মায়েদা: ৩২)

তার কথা শুনে সেই যুবকদের মধ্যে একজনের চোখ ছলছল করে উঠল। সে কাঁপা কণ্ঠে বলল, "আমরা এতদিন যা করলাম, তা কি সত্যিই ভুল?"

অন্যরা চুপ হয়ে গেল। হাসান তাদের ডেকে মসজিদে নিয়ে গেল, সেখানে ইমাম সাহেব তাদের বুঝালেন ইসলামের প্রকৃত শিক্ষা।

একটি নতুন শুরু

সেদিনের পর হাসান স্থির করল, সে শুধু পরীদের রাজ্যে নয়, নিজের জগতেও সত্যের আলো ছড়াবে।

কিন্তু সামনে আরও বড় চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে…

(পরবর্তী পর্ব: অশুভ শক্তির ফিরে আসা—হাসানের ঈমানের কঠিন পরীক্ষা!)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

বুধবার, ৫ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ২৩: হাসানের সিদ্ধান্ত—এগিয়ে যাওয়া নাকি ফিরে আসা?

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"হাসান কি পরীদের জগতে থেকে যাবে, নাকি দুনিয়ায় ফিরে গিয়ে সত্যের আলো ছড়াবে?"
সত্যের পথে নতুন যাত্রা! হাসান কি পরীদের ছেড়ে চলে যাবে?

পর্ব ২৩: হাসানের সিদ্ধান্ত—এগিয়ে যাওয়া নাকি ফিরে আসা?

শয়তানের শক্তি ধ্বংস হয়ে গেছে, রাতের অন্ধকার কেটে গিয়ে সত্যের আলো ছড়িয়ে পড়েছে। পরীদের রাজ্য জয়ধ্বনিতে মুখরিত। হাসান অনুভব করল, তার ভেতরে যেন এক নতুন শক্তি প্রবাহিত হচ্ছে।

কিন্তু এখন সামনে এক বড় সিদ্ধান্ত। সে কি পরীদের এই জগতে থেকে যাবে, নাকি নিজের পৃথিবীতে ফিরে যাবে?

পরীদের আহ্বান

পরীদের রানী ফারিসতা সামনে এসে বললেন, "হাসান, আল্লাহর রহমতে তুমি আমাদের রক্ষা করেছ। তোমার জন্য আমাদের রাজ্যের দরজা সবসময় খোলা। কিন্তু এখন সিদ্ধান্ত তোমার হাতে—তুমি কি আমাদের সাথেই থাকবে?"

এক বৃদ্ধ পরী বললেন, "তুমি যদি থেকে যাও, তবে আমরা সবাই সত্যের পথে নতুন ইতিহাস গড়তে পারব।"

হাসান চুপ করে শুনছিল। তার হৃদয় দ্বিধাবিভক্ত।

নিজের পৃথিবীর টান

হঠাৎ তার চোখের সামনে ভেসে উঠল তার পরিবার, ছোট ভাইবোন, তার গ্রামের মানুষ। তারা কি জানে, হাসান কোথায়? তারা কি তার ফেরার অপেক্ষায় আছে?

সে মনে মনে বলল, "আমি কি সত্যের আলো শুধু এখানে ছড়াব, নাকি আমার দুনিয়ায় গিয়ে সত্যের বাণী পৌঁছে দেব?"

কুরআনের আলোতে সিদ্ধান্ত

হাসান তার মনে পড়ল এক গুরুত্বপূর্ণ আয়াত—

"তোমাদের মধ্যে এমন এক দল থাকা উচিত, যারা সৎ কাজের আদেশ দেবে এবং অসৎ কাজ থেকে বিরত রাখবে। তারাই সফলকাম।"
(সুরা আলে ইমরান: ১০৪)

সে বুঝতে পারল, তার কাজ এখানেই শেষ নয়। তাকে নিজের জগতে ফিরে যেতে হবে, সত্যের আলোকে মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে।

পরীদের বিদায়

পরীদের রানী ফারিসতা একটু দুঃখিত কণ্ঠে বললেন, "তুমি চলে গেলে আমরা তোমাকে মিস করব, কিন্তু আমরা জানি, তুমি সত্যের পথেই থাকবে।"

সবাই হাসানকে শুভেচ্ছা জানাল, আর একসঙ্গে দোয়া করল—

"হে আমাদের রব, আমাদের সঠিক পথে পরিচালিত করো, আমাদের ঈমান দৃঢ় করো।"

আলোর ঝলকানির মাঝে হাসান ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে লাগল।

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের ফিরে আসা—নতুন চ্যালেঞ্জের শুরু!)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

পর্ব ২২: চূড়ান্ত লড়াই—সত্যের আলো বনাম অন্ধকারের শক্তি

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"সত্যের জন্য চূড়ান্ত যুদ্ধ! হাসান কি শয়তানের চক্রান্ত রুখে দিতে পারবে?"
হাসানের ঈমানের পরীক্ষা! চূড়ান্ত যুদ্ধের ফলাফল কী হবে?

পর্ব ২২: চূড়ান্ত লড়াই—সত্যের আলো বনাম অন্ধকারের শক্তি

শয়তানের সেনারা প্রস্তুত! চারদিকে কালো মেঘের বিস্তার, বাতাসে অদ্ভুত গর্জন। অন্ধকারের নেতা সামনে এসে দাঁড়িয়েছে।

হাসান পরীদের সাথে একত্রিত হলো। সে জানে, আজ রমজানের শেষ দশকের অন্যতম রাত, যেখানে দোয়া কবুল হয়, রহমতের দরজা খুলে যায়। তার হৃদয় শক্তিশালী ঈমানে পূর্ণ।

শয়তানের ধোঁকা—শেষ চেষ্টা!

হঠাৎ এক রহস্যময় কণ্ঠস্বর হাসানের কানে এলো—

"তুমি যদি সত্যের পথেই থাকতে চাও, তবে কেন এত কষ্ট? এই যুদ্ধের কি প্রয়োজন?"

হাসান বুঝল, শয়তান তার মনকে দুর্বল করার চেষ্টা করছে। কুরআনের সেই আয়াত তার মনে পড়ল—

"যারা ঈমান এনেছে, আল্লাহ তাদেরকে সুদৃঢ় কথা দ্বারা দুনিয়া ও আখিরাতে প্রতিষ্ঠিত রাখেন।"
(সুরা ইবরাহিম: ২৭)

সে দৃঢ়ভাবে বলল, "সত্যের জন্য লড়াই করাই প্রকৃত বিজয়!"

শেষ যুদ্ধে পরীদের সাহায্য

পরীদের রাজ্যে আলো জ্বলে উঠল। বৃদ্ধ পরী নাওরিন সবাইকে স্মরণ করিয়ে দিলেন—

"এটি শুধু এক যুদ্ধ নয়, এটি সত্যের পরীক্ষা। রমজানের শেষ রাত, আমাদের সকলের জন্য আত্মশুদ্ধির সময়!"

আল্লাহর সাহায্য চেয়ে পরীরা সম্মিলিত দোয়া করল—

"হে আমাদের রব! আমাদের ওপর ধৈর্য বর্ষণ করো, আমাদের পায়ের অবস্থান দৃঢ় করো এবং কাফির সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের সাহায্য করো।"
(সুরা আল-বাকারা: ২৫০)

আলো বনাম অন্ধকার—চূড়ান্ত মুহূর্ত!

হাসান তলোয়ার উঁচু করল, চারপাশে রমজানের আলো ছড়িয়ে পড়ল। এক ঝলক আলোর তরঙ্গ ছুটে গেল শয়তানের সেনাদের দিকে।

অন্ধকারের নেতা ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে পড়ছে। তার কণ্ঠস্বর কমে আসছে—

"অসম্ভব! সত্যের শক্তি এত প্রবল!"

বিজয়ের আলো

একটি প্রবল আলোর বিস্ফোরণ! শয়তানের শক্তি ধ্বংস হয়ে গেল। চারদিকে আলো ছড়িয়ে পড়ল, রমজানের বরকতময় রাত সত্যের বিজয় উদযাপন করল।

হাসান হাঁপাতে হাঁপাতে বলল, "আলহামদুলিল্লাহ! সত্যের আলো কখনো নিভে না!"

পরীরা উল্লাসে ফেটে পড়ল, আকাশে নতুন তারারা ফুটে উঠল।

(পরবর্তী পর্ব: হাসানরর সিদ্ধান্ত—এগিয়ে যাওয়া নাকি ফিরে আসা?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ২১: আলো-অন্ধকারের দ্বন্দ্ব


উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

হাসান কি সত্যের পথে অবিচল থাকতে পারবে, নাকি অন্ধকারের শক্তির কাছে হার মানবে?"
"হাসানের ঈমানের পরীক্ষা! সত্যের আলো টিকবে, নাকি অন্ধকার জয়ী হবে?"

পর্ব ২১: আলো-অন্ধকারের দ্বন্দ্ব

রমজানের শেষ দশক চলছে। হাসানের হৃদয়ে এক অদ্ভুত অনুভূতি কাজ করছে—একদিকে অন্ধকারের নেতার উপস্থিতি, অন্যদিকে সত্যের জন্য যুদ্ধ করার সংকল্প।

পবিত্র রাতে যখন সবাই ইবাদতে মগ্ন, তখনই শয়তানের কৌশল আরও তীব্র হয়ে ওঠে। পরীদের রাজ্যে একের পর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটতে শুরু করল। নক্ষত্রেরা যেন ম্লান হয়ে আসছে, আকাশ কালো মেঘে ঢেকে যাচ্ছে।

বৃদ্ধ পরী নাওরিন সবাইকে একত্রিত করে বললেন, "সতর্ক হও! অন্ধকার শক্তি এবার পূর্ণ শক্তি নিয়ে এসেছে। শয়তানের ধোঁকা আরও গভীর হয়েছে। হাসান, তোমার সাহস এবং ঈমানের পরীক্ষার সময় এসেছে!"

অন্ধকারের প্রতারণা: শয়তানের চক্রান্ত

হাসানের কানে এক অদ্ভুত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো।

"তুমি কেন এত কষ্ট করছ? আলো রক্ষা করেও কি লাভ? শক্তি আর ক্ষমতাই তো আসল সত্য!"

সে হতবাক! এই কণ্ঠ যেন তার মনের মধ্যেই কথা বলছে। কিন্তু হাসান দ্রুত মনে পড়ে গেল কুরআনের সেই আয়াত—

"নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু, সুতরাং তোমরা তাকে শত্রু মনে করো।"
(সুরা ফাতির: ৬)

হাসান শক্ত কণ্ঠে বলল, "না! সত্যের পথ কখনো ছেড়ে যাব না!"

ঠিক তখনই, বিশাল ছায়ামূর্তি সামনে এসে দাঁড়াল। অন্ধকারের নেতা হাসানের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে বলল, "তোমার ঈমান যদি এতই দৃঢ় হয়, তবে দেখাই যাক, তুমি কতটা শক্তিশালী!"

রমজানের রাত ও আত্মশুদ্ধির শক্তি

এটি ছিল ২৭তম রমজানের রাত—লাইলাতুল কদর। আকাশের কালো মেঘের মাঝেও চাঁদের আলো এক আশ্চর্য উজ্জ্বলতা ছড়িয়ে দিচ্ছিল।

নূরসাবা মাহিরের দিকে তাকিয়ে বলল, "এটা এমন এক রাত, যখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের সব দোয়া কবুল করেন। এই রাতে শয়তানের শক্তি দুর্বল হয়ে যায়।"

"নিশ্চয়ই আমি কদরের রাতে কুরআন নাজিল করেছি। তুমি কি জানো, কদরের রাত কী? এই রাত এক হাজার মাসের চেয়ে উত্তম।"
(সুরা আল-কদর: ১-৩)

চূড়ান্ত যুদ্ধের সূচনা

হাসান জানত, এবার সে একা নয়। তার পাশে আছে ঈমান, রমজানের রহমত, আর কুরআনের আলো।

সে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "আমি আলোকে রক্ষা করব! আমি সত্যের পক্ষে দাঁড়াব!"

অন্ধকারের নেতা হেসে উঠল, "তাহলে যুদ্ধ শুরু হোক!"

চারপাশ কেঁপে উঠল, আকাশ বিদ্যুৎ চমকালো, বাতাস গর্জন করতে লাগল। হাসান ও পরীরা একসাথে দাঁড়িয়ে গেল। সত্যের জন্য যুদ্ধ এবার শুরু!

(পরবর্তী পর্ব: শেষ লড়াই—কে বিজয়ী হবে, আলো নাকি অন্ধকার?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

সোমবার, ৩ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ২০: চূড়ান্ত পরীক্ষার শুরু

 

উপন্যাস: পরীর ছোয়া

সত্যের পথ কখনো সহজ নয়! হাসান কি শয়তানের ধোঁকা এড়িয়ে আলোর শক্তি রক্ষা করতে পারবে?"
শয়তানের শক্তির মুখোমুখি হাসান! এবার কি সত্যের আলো টিকে থাকবে?"


পর্ব ২০: চূড়ান্ত পরীক্ষার শুরু

নিশ্ছিদ্র অন্ধকার। হাসান অনুভব করল, চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠছে। পরীদের আশ্রয়স্থলের চারপাশে কালো কুয়াশার আস্তরণ পড়ে গেছে। নূরসাবা উদ্বিগ্ন কণ্ঠে বলল,

"এটা কোনো সাধারণ অন্ধকার নয়! এটা সেই শয়তানের পাঠানো যাদু, যে আমাদের ধ্বংস করতে চায়!"

বৃদ্ধ পরী নাওরিন তার লাঠি মাটিতে ঠুকে বললেন, "এই যুদ্ধ শুধু বাহ্যিক শক্তির নয়, হাসান! তোমার ঈমান ও আত্মার শক্তিই এখন তোমার আসল অস্ত্র।"

শয়তানের ফাঁদ ও কোরআনের দিকনির্দেশনা

হাসান ভ্রু কুঁচকে বলল, "কিন্তু আমরা কিভাবে জানবো শয়তানের ধোঁকা কী?"

বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন, "শুনো, শয়তান সবসময় আমাদের ভুল পথে চালিত করতে চায়। কুরআনে বলা হয়েছে—"

"নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু, সুতরাং তোমরা তাকে শত্রু মনে করো। সে তো তার দলকে আহ্বান করে যেন তারা জাহান্নামের অধিবাসী হয়।"
(সুরা ফাতির: ৬)

হাসান গভীর চিন্তায় পড়ে গেল। তাহলে কি তার মনের দ্বিধা-সংকোচও শয়তানের ধোঁকা?

রমজানের রহমত ও শক্তি

নূরসাবা বলল, "রমজানে শয়তানকে শৃঙ্খলিত করা হয়, তাই এই সময় আমাদের আত্মাকে বিশুদ্ধ করার উত্তম সুযোগ।"  রিহান যোগ করল, "এখনই সময়, হাসান! তুমি যদি সত্যিকার অর্থে আলোকে রক্ষা করতে চাও, তাহলে নিজের ঈমান দৃঢ় করো! কারণ আল্লাহ বলেছেন—"

"যারা আল্লাহর পথে সংগ্রাম করে, তিনি অবশ্যই তাদের সঠিক পথে পরিচালিত করেন।"
(সুরা আনকাবুত: ৬৯)

অন্ধকারের নেতার আগমন!

ঠিক তখনই বাতাস কেঁপে উঠল! এক গম্ভীর হাসির শব্দ চারদিকে প্রতিধ্বনিত হলো।

"তোমরা এত সহজেই আলোকে রক্ষা করতে পারবে ভেবেছ?"

এক বিশাল ছায়ামূর্তি আকাশের নিচে নেমে এলো। তার চোখ দুটো রক্তের মতো লাল, আর সারা শরীর ধোঁয়ার মতো কালো কুয়াশায় আবৃত।

"আমি তোমাদের শেষ করবো!"

পরীরা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হলো। হাসান বুকের ভেতর সাহস সঞ্চার করল। এবার সে পিছিয়ে যাবে না!

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি শয়তানের ধোঁকা এড়িয়ে সত্যের পথে থাকতে পারবে? এক চূড়ান্ত যুদ্ধ আসন্ন!)

রবিবার, ২ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ১৯: সত্যের আলো বনাম অন্ধকারের ছায়া

 

উপন্যাস: পরীর ছোয়া

"সত্যের পথে বাধা আসবেই! হাসান কি ধৈর্য ধরে অন্ধকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারবে?"
"হাসানের সামনে নতুন শত্রু! সে কি সত্যের পথে অবিচল থাকতে পারবে?"

পর্ব ১৯: সত্যের আলো বনাম অন্ধকারের ছায়া

রাত গভীর হয়েছে। হাসান বসে আছে এক বিশাল বটগাছের নিচে। সারা দিনের যুদ্ধের পর তার শরীর ক্লান্ত, কিন্তু মন অস্থির। অন্ধকার শক্তি ফিরে আসবে, এটা সে নিশ্চিত।

"হে আল্লাহ! আমাকে হক আর বাতিলের পার্থক্য বোঝার তৌফিক দাও," হাসান মনে মনে দোয়া করল।

পরীদের পরিকল্পনা

বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন, "তোমার পরীক্ষার সময় শেষ হয়নি, হাসান। সত্যিকারের রক্ষক হতে হলে তোমাকে কেবল বাহ্যিক শক্তিতে নয়, আত্মার শক্তিতেও দৃঢ় হতে হবে।"

নূরসাবা যোগ করল, "তুমি কি জানো, সত্যের পথে চলতে গেলে সবসময় পরীক্ষা আসে? আল্লাহ কুরআনে বলেছেন—"

"আপনারা কি মনে করেন যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই ছেড়ে দেওয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?"
(সুরা আনকাবুত: ২)

হাসান স্তব্ধ হয়ে গেল। সত্যিই তো, সে কি ধৈর্য ধরে সত্যের পথে থাকতে পারবে?

রমজানের আলো ও আত্মশুদ্ধি

রিহান বলল, "এখন তো রমজান চলছে! মাহির, তুমি কি জানো রমজানের গুরুত্ব?"

বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন, "রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে শয়তানকে বন্দি করা হয়, আর আমরা আমাদের নফসকে দমন করার শিক্ষা পাই।"

"রমজান এমন একটি মাস, যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং সঠিক পথ ও ন্যায়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ।"
(সুরা আল-বাকারা: ১৮৫)

হাসান অনুভব করল, এখন সে শুধু বাহ্যিক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে না, বরং তার নিজের আত্মার সঙ্গেও যুদ্ধ করছে।

অন্ধকারের নেতা প্রকাশ পেল!

হঠাৎ করে চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল। এক রহস্যময় কণ্ঠস্বর শোনা গেল—

"তোমরা যদি মনে করো, আলো তোমাদের রক্ষা করবে, তবে ভুল করছ! আমি আসছি… হাসান' তুমি প্রস্তুত তো?"

সবাই চমকে উঠল! এবার সত্যিকারের যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে!

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি সত্যের শক্তি দিয়ে অন্ধকারের নেতাকে পরাজিত করতে পারবে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব