GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

শনিবার, ১ মার্চ, ২০২৫

পর্ব ১৮: অন্ধকারের প্রহরী

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

অন্ধকারের প্রহরীরা ফিরে এসেছে! হাসান কি আলোর শক্তি দিয়ে তাদের প্রতিহত করতে পারবে?"

"হাসানের সামনে সবচেয়ে ভয়ানক শত্রু! সে কি আলোকে রক্ষা করতে পারবে?"

পর্ব ১৮: অন্ধকারের প্রহরী

হাসান শক্ত হাতে তলোয়ার চেপে ধরল। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল ছায়ামূর্তির চোখ দুটো অগ্নিশিখার মতো জ্বলছে। তার কণ্ঠস্বর গভীর ও রহস্যময়—

"তুমি আমাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছ, হাসান! আলোকে রক্ষা করার দুঃসাহস দেখিয়েছ!"

হাসান জানে, এটি কোনো সাধারণ প্রতিপক্ষ নয়। পরীদের জগতে আসার পর এত শক্তিশালী কোনো অস্তিত্বের মুখোমুখি সে কখনো হয়নি।

প্রথম আঘাত

হঠাৎ করেই সেই ছায়ামূর্তি হাত বাড়াল, আর চারপাশের বাতাস ঘন কালো হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যেই এক বিশাল ধাক্কা হাসানকে পেছনে ফেলে দিল!

সে দ্রুত উঠে দাঁড়াল। পরীদের যেসব জাদু শেখা উচিত ছিল, তা সে পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। কিন্তু এখন পেছনে ফেরার উপায় নেই!

"আলো কখনো অন্ধকারের কাছে হার মানবে না!" হাসান দৃঢ়স্বরে বলল।

তার শরীরের চারপাশে একদম স্বচ্ছ আলোর বলয় তৈরি হলো, যা সেই অন্ধকার ছায়াকে কিছুটা হলেও দূরে ঠেলে দিল।

পরীদের আগমন

ঠিক সেই মুহূর্তে, নূরসাবা আর রিহান ছুটে এলো। তাদের সঙ্গেও কয়েকজন শক্তিশালী পরী রয়েছে, যারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বৃদ্ধ পরী নাওরিন এক ঝলক তাকিয়েই বুঝে গেলেন বিপদ কতটা ভয়ানক।

"এটা শুধু শুরু, হাসান," বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন। "এই ছায়া একা নয়, এদের নেতা আরও শক্তিশালী। আমাদের এখনই প্রস্তুত হতে হবে!"

অন্ধকারের হুমকি

ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে লাগল, কিন্তু যাওয়ার আগে এক শীতল হেসে বলল,

"আজ তুমি বেঁচে গেছ, হাসান! কিন্তু মনে রেখো, আমরা ফিরে আসব। এবং তখন কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারবে না!"

হাসানের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠল। সত্যিই কি সে প্রস্তুত? পরীদের জগৎ কি অন্ধকারের শক্তির সামনে টিকে থাকতে পারবে?

(পরবর্তী পর্ব: অন্ধকার শক্তির আসল নেতা কে? হাসান কি সত্যের আলোকে ধরে রাখতে পারবে?)

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পর্ব ১৭: অন্ধকারের ডাক

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"অন্ধকারের ছায়া হাসানকে গ্রাস করতে চাইছে! সে কি সত্যের পথে অটল থাকতে পারবে?"

অন্ধকারের প্রহরীদের সামনে দাঁড়িয়ে হাসান এটাই তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা!"

পর্ব ১৭: অন্ধকারের ডাক

হাসানের পরীক্ষাগুলো শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনো তার আসল লড়াই শুরু হয়নি। পরীদের জগতে আলোর রক্ষক হিসেবে তার পরিচয় গড়ে উঠলেও, অন্ধকার শক্তি চুপচাপ বসে নেই। গভীর রাতের এক অদ্ভুত মুহূর্তে সে অনুভব করল, কেউ তাকে ডাকছে…

অজানা কণ্ঠস্বর

“হাসান… তুমি কি মনে করো, সত্যকে বেছে নিয়ে তুমি জয়ী হয়েছ?”

হাসান ঘুমের ঘোরে শুনতে পেল এই রহস্যময় কণ্ঠস্বর। সে চোখ মেলে দেখল, তার সামনে এক কালো ছায়া। আগের পরীক্ষাগুলোতে যা কিছু দেখেছে, তার তুলনায় এই ছায়ার অস্তিত্ব অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও বাস্তব।

“তুমি কেবল আলোর এক কণা পেয়েছ। কিন্তু তুমি কি জানো, আলো যতই শক্তিশালী হোক, অন্ধকার তাকে গ্রাস করতেই পারে?”

হাসান কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়াল। তার হৃদয় জোরে ধুকধুক করছিল। কিন্তু এই সময়েই, আশপাশের বাতাস ভারী হয়ে এলো। সে অনুভব করল, কিছু একটা ভুল হচ্ছে।

পরীদের সতর্কবার্তা

সকাল হতেই হাসান তার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধ পরী নাওরিনকে জানাল। বৃদ্ধ পরীর মুখ মুহূর্তেই কঠিন হয়ে গেল।

“অবশেষে তারা এসে গেছে…” তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।

“তারা?” হাসান প্রশ্ন করল।

“অন্ধকারের প্রহরীরা। তারা বহু বছর ধরে আলোর রক্ষকদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তুমি এখন তাদের টার্গেট। যদি তারা তোমাকে ফাঁদে ফেলতে পারে, তবে তুমি চিরতরে হারিয়ে যাবে।”

হাসান শিহরিত হয়ে উঠল। তার তো ধারণাই ছিল না, এত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে!

অন্ধকারের প্রথম আঘাত

সন্ধ্যা নামতেই জঙ্গলের ভেতর এক অদ্ভুত শীতল বাতাস বইতে লাগল। হঠাৎই গাছপালাগুলো অস্বাভাবিকভাবে নড়তে লাগল, যেন কিছু একটা তাদের ভেতরে লুকিয়ে আছে।

রিহান ছুটে এসে বলল, “হাসান! তাড়াতাড়ি আসো! কেউ একজন আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে!”

হাসান আর সময় নষ্ট করল না। সে দ্রুত পরীদের দুর্গের দিকে এগোল। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে, তার সামনে এক বিশাল ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে গেল। তার চোখ দুটো রক্তের মতো লাল, আর সে গভীর কণ্ঠে বলল—

“তোমাকে আমি খুঁজছি, আলোর রক্ষক!”

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি অন্ধকার শক্তির কবল থেকে বাঁচতে পারবে? নাকি সে তাদের ফাঁদে পড়বে?)

বৃহস্পতিবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পর্ব ১৬: চূড়ান্ত পরীক্ষা

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

হাসান বিভ্রমের জগতে আটকা পড়েছে! সে কি সত্যের পথে থাকতে পারবে?"

সত্য ও বিভ্রমের মুখোমুখি  হাসান—সে কি আলোর রক্ষক হতে পারবে?"


পর্ব ১৬: চূড়ান্ত পরীক্ষা

হাসান অগ্নিপথের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন তার সামনে অপেক্ষা করছে শেষ ও সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ—চূড়ান্ত পরীক্ষা। এটি শুধু শারীরিক নয়, বরং তার মনেরও এক কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।

আলোর দরজার সামনে

বৃদ্ধ পরী নাওরিন হাসানকে এক বিশাল স্ফটিকের দরজার সামনে নিয়ে এলেন। দরজার ওপার থেকে এক মৃদু আলো বের হচ্ছিল, কিন্তু সেই আলো যেন রহস্যময়ভাবে তাকে ডাকছিল।

"এটাই তোমার শেষ পরীক্ষা, হাসান," বৃদ্ধ পরী নওরিন বললেন। "এই দরজার ওপারে প্রবেশ করলে তোমার আত্মার প্রকৃত শক্তি প্রকাশ পাবে। কিন্তু মনে রেখো, এখানে তোমার সমস্ত ভয়, সন্দেহ, এবং লোভ তোমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তুমি কি প্রস্তুত?"

হাসান গভীর শ্বাস নিল। অগ্নিপথের অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছে, সত্যিকারের শক্তি বাহ্যিক কিছু নয়—এটি মন ও আত্মার একটি গুণ। সে দৃঢ়ভাবে বলল, "আমি প্রস্তুত!"

মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ

দরজা খুলতেই চারপাশ কালো কুয়াশায় ঢেকে গেল। হঠাৎ তার সামনে ভেসে উঠল এক পরিচিত মুখ—তার ছোটবেলার বন্ধু রুমন, যে অনেক বছর আগে এক সরক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল।  রুমন মৃদু হেসে বলল, "হাসান, তুমি কি সত্যিই মনে করো তুমি আমাদের ছেড়ে নতুন এক জগতে চলে যেতে পারবে? তোমার পুরনো জীবন তোমাকে ডাকছে!"

হাসান হতবাক! এ কেমন পরীক্ষা?

তারপর একে একে তার পরিবারের মুখ, পুরনো স্মৃতি, এমনকি তার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোও সামনে এসে দাঁড়ালো। সবকিছু যেন তাকে টেনে নিয়ে যেতে চায়।

সত্যের পথে অটল থাকা

হাসান চোখ বন্ধ করল। তার অন্তর থেকে একটা স্বর ভেসে এলো—"তুমি যদি সত্যের পথ বেছে নাও, তবে এই বিভ্রমের কাছে হার মানবে না!"

সে চোখ খুলে দৃঢ়ভাবে বলল, "এগুলো শুধু মায়া। আমার পথ নির্ধারিত! আমি সত্য ও আলোকে বেছে নিয়েছি!"

তৎক্ষণাৎ সব বিভ্রম ভেঙে গেল, আর তার চারপাশ উজ্জ্বল আলোয় ভরে উঠল।

আলোর রক্ষকের অভিষেক

হাসান দরজার ওপারে পৌঁছে গেল, যেখানে পরীদের জগৎ এক নতুনভাবে উদ্ভাসিত। বৃদ্ধ পরী নাওরিন তার সামনে এসে বললেন, "অভিনন্দন, হাসান! তুমি চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছ। আজ থেকে তুমি আমাদের আলোর রক্ষক!"

রিহান ও নূরসাবা উল্লাস করে বলল, "তুমি পেরেছ, হাসান!"

হাসান হাসল। তার যাত্রা শেষ নয়, বরং এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।

(পরবর্তী পর্ব নতুন অভিযানের শুরু?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

বুধবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পর্ব ১৫: অগ্নিপথ

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

আগুন কি তাকে পুড়িয়ে ফেলবে, নাকি সে নিজের ভয়কে জয় করবে?"

অগ্নিপথের একধারে হাসান—সে কি সত্যের শক্তি অর্জন করতে পারবে?"


পর্ব ১৫: অগ্নিপথ

হাসানের আত্মশক্তির প্রথম পরীক্ষা সফলভাবে শেষ হয়েছে, কিন্তু এখন তার সামনে অপেক্ষা করছে আরও কঠিন চ্যালেঞ্জ। পরীদের জগতে আলোকে রক্ষা করার জন্য কেবল বিশ্বাস নয়, শক্তিও দরকার।

পরীক্ষার দ্বিতীয় ধাপ: অগ্নিপথ

বৃদ্ধ পরী নাওরিন মাহিরকে এক বিশাল উপত্যকার সামনে নিয়ে এলেন। এই উপত্যকার মাঝখানে ছিল এক উজ্জ্বল সোনালি পথ, যার দু'পাশে প্রবল আগুন জ্বলছিল।

"এটাই তোমার দ্বিতীয় পরীক্ষা," বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন। "তুমি যদি সত্যিকারের শক্তি অর্জন করতে চাও, তবে এই অগ্নিপথ পার হতে হবে। কিন্তু মনে রেখো, এখানে শুধুই বাহ্যিক শক্তি কাজে দেবে না। তোমার মনও দৃঢ় হতে হবে!"

হাসান এক মুহূর্ত দ্বিধায় পড়ে গেল। এই আগুন বাস্তব, এর তাপে সে পুড়ে যেতে পারে!

ভয়কে জয় করার লড়াই

রিহান দূর থেকে বলল, "ভয় পেয়ো না, হাসান! যদি মনে শক্তি থাকে, আগুন তোমার ক্ষতি করতে পারবে না!"

হাসান চোখ বন্ধ করল। মনে পড়ল তার শপথ—সে সত্যের পথে থাকবে, আলোকে রক্ষা করবে। সে চোখ খুলে দৃঢ় পদক্ষেপে অগ্নিপথে পা বাড়াল।

প্রথম ধাপেই প্রচণ্ড উত্তাপ তার ত্বকে লাগল। মনে হলো, সে আর এক মুহূর্তও দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু সে থামল না। প্রতিটি ধাপে মনে হলো আগুন একটু একটু করে হালকা হয়ে যাচ্ছে!

অগ্নিপথের শেষে নতুন শক্তি

অবশেষে হাসান যখন অগ্নিপথ পার হয়ে ওপারে পৌঁছাল, তখন সে অনুভব করল এক অদ্ভুত পরিবর্তন। তার ভেতরে এক নতুন শক্তির সঞ্চার হয়েছে। তার শরীর হালকা, কিন্তু তার অন্তর যেন আরও দৃঢ়!

বৃদ্ধ পরী নাওরিন সন্তুষ্ট হয়ে বললেন, "তুমি দ্বিতীয় ধাপ সফলভাবে পেরিয়েছ, হাসান! এখন তোমার সামনে অপেক্ষা করছে চূড়ান্ত পরীক্ষা!"

রিহান তার কাঁধে হাত রেখে বলল, "তুমি প্রস্তুত তো?"

হাসান আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলল, "আমি তৈরি!"

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের চূড়ান্ত পরীক্ষা—সে কি সত্যিকারের আলোর রক্ষক হয়ে উঠতে পারবে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

পর্ব ১৪: শক্তির সন্ধান

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"গুহার ভেতরে হাসান নিজের প্রতিচ্ছবির মুখোমুখি হলো—এটাই কি তার সবচেয়ে বড় পরীক্ষা?"

হাসানের সামনে রহস্যময় আয়না! সত্য ও অন্ধকারের এই যুদ্ধে সে কি জয়ী হতে পারবে?"


পর্ব ১৪: শক্তির সন্ধান

পরীদের রাজ্যে সময় যেন অন্য রকম। এখানে রাতের গভীরতাও আলোর ছোঁয়ায় রহস্যময়। হাসান এখন এক নতুন পথের যাত্রী—আলোর রক্ষক হওয়ার পথে তার যাত্রা শুরু হয়েছে।

প্রথম ধাপ: আত্মশক্তির পরীক্ষা

বৃদ্ধ পরী নওরিন হাসানকে এক রহস্যময় গুহার সামনে নিয়ে গেলেন। গুহার ভেতর থেকে এক অদ্ভুত নীলচে আলো বের হচ্ছিল।

"তুমি যদি সত্যিকারের শক্তি অর্জন করতে চাও, তবে এই গুহায় প্রবেশ করতে হবে," বৃদ্ধ পরী বললেন।

হাসান এক মুহূর্ত ভাবল, তারপর দৃঢ় মনে গুহায় প্রবেশ করল।

গুহার ভেতরের রহস্য

ভেতরে ঢুকতেই চারপাশে নীরবতা ছেয়ে গেল। আচমকা বাতাসে গুঞ্জন শোনা গেল—কেউ যেন তার নাম ধরে ডাকছে।

"কে?" হাসান চিৎকার করল, কিন্তু কোনো উত্তর এলো না।

তার সামনে হঠাৎ এক বিশাল আয়না ফুটে উঠল। আয়নায় সে নিজেকেই দেখল, কিন্তু তার প্রতিচ্ছবির চোখে ছিল এক অদ্ভুত অন্ধকার!

"তুমি কি সত্যিকারের আলো বহন করতে পারবে?" প্রতিচ্ছবি ফিসফিস করে বলল।

হাসান দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ল। এই মুহূর্তে সে নিজেকে কতটা প্রস্তুত মনে করছে?

নিজেকে জয়ের শপথ

হাসান চোখ বন্ধ করল। সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল—অন্ধকার যতই আসুক, সে কখনো ভয় পাবে না। সত্যের জন্য, আলোকে রক্ষা করার জন্য সে নিজেকে উৎসর্গ করবে।

চোখ খুলতেই আয়নাটি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল, আর নীল আলো তার চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল।

পরীক্ষার সফল সমাপ্তি

বৃদ্ধ পরী নাওরিন বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করছিলেন। হাসান যখন গুহা থেকে বেরিয়ে এলো, তার মুখে ছিল এক আত্মবিশ্বাসের ছাপ।

"তুমি প্রথম ধাপ পেরিয়েছ, -। এখন সামনে আরও কঠিন পথ অপেক্ষা করছে!"

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের দ্বিতীয় পরীক্ষা—সে কি সত্যিকার শক্তি অর্জন করতে পারবে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

মঙ্গলবার, ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পর্ব ১৩: নতুন দিগন্ত

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

এখন তাকে সত্তিকারের শক্তির পথ খুঁজতে হবে।
হাসানের নতুন জীবন শুরু! কিন্তু সামনে আরও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে!"

পর্ব ১৩: নতুন দিগন্ত

পরীদের রাজ্যে এক নতুন ভোরের সূচনা হয়েছে। কালো অন্ধকার বিদায় নিয়েছে, আর সোনালি আলো চারপাশকে উজ্জ্বল করে তুলেছে। হাসান এখন আর আগের মতো সাধারণ মানুষ নেই। সে পরীদের রাজ্যের একজন হয়ে উঠেছে।

পরীক্ষার শুরু

বৃদ্ধ পরী নাওরিন ধীরে ধীরে হাসানেরর সামনে এগিয়ে এসে বলল, "তুমি এখন আমাদের একজন, কিন্তু তোমার যাত্রা এখনও শেষ হয়নি। সামনে আরও বড় পরীক্ষা অপেক্ষা করছে।"

হাসান অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করল, "কেমন পরীক্ষা?"

রিহান বলল, "তুমি যদি সত্যিকারের আলো বহন করতে চাও, তবে তোমাকে নিজের ভেতরের দুর্বলতা ও ভয়কে জয় করতে হবে।"

মানুষের পৃথিবী বনাম পরীদের জগত

হাসান কিছুক্ষণ নীরব রইল। তার মন ছটফট করছিল। মানুষের জগতে তার পরিবারের কথা মনে পড়ল। সে কি কখনও তাদের দেখতে পারবে না?

নূরসাবা তার দৃষ্টি বুঝতে পেরে বলল, "তুমি যদি চাও, আমরা তোমাকে ফিরে যেতে দেব। কিন্তু তুমি জানো, একবার ফিরে গেলে আর এখানে আসতে পারবে না।"

হাসানের সিদ্ধান্ত

হাসান গভীরভাবে ভাবল। সে জানে, মানুষের জগতে ফিরে গেলে হয়তো আর পরীদের জগতের রহস্য ছুঁতে পারবে না। কিন্তু এখানেও তার একটা নতুন জীবন অপেক্ষা করছে।

সে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "আমি এখানেই থাকব। আমি আলোকে রক্ষা করব।"

বৃদ্ধ পরী নওরিন খুশি হয়ে বলল, "তবে তোমার প্রশিক্ষণ শুরু হোক!"

নতুন অভিযানের পথে

পরীদের রাজ্যে নতুন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করছে হাসানের জন্য। রিহান বলল, "শুধু বাহ্যিক শক্তি নয়, অন্তরের শক্তি অর্জন করতে হবে তোমাকে।"

নূরসাবা হাসল। "এটাই আমাদের জগতের শুরু, হাসান!"

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের প্রশিক্ষণ—সে কি সত্যিকারের পরীদের সৈনিক হতে পারবে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব

সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পর্ব ১২: চূড়ান্ত শপথ

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

আলো ও অন্ধকারের শেষ লড়াইয়ে হাসান সিদ্ধান্ত নিল—সে কি সত্যের পথে থাকবে?"

পরীদের শপথ গ্রহণের মুহূর্ত!৷ হাসান কি সত্যের পথে এগিয়ে যাবে?"

পর্ব ১২: চূড়ান্ত শপথ

আকাশজুড়ে আলো আর অন্ধকারের লড়াই চলছিল। বিদ্যুতের ঝলকানিতে চারপাশ উজ্জ্বল হয়ে উঠছিল, আবার মুহূর্তেই ঘন কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যাচ্ছিল।

রিহান তলোয়ার উঁচিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল, তার শরীর থেকে সোনালি আভা বিচ্ছুরিত হচ্ছিল। অন্যদিকে, কালো ছায়ামূর্তি রাগে গর্জন করছিল, তার চারপাশে ছায়ার দানব তৈরি হচ্ছিল।

হাসান এখনও শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল, কিন্তু তার মন এখন দ্বিধাহীন। সে জানে, এখান থেকে বেরোতে হলে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—সে কি পরীদের শপথ নেবে, নাকি নিজের জগতে ফিরে যাবে?

পরীক্ষার মুহূর্ত

নূরসাবা মাহিরের হাত চেপে ধরল। "এখনই সময়, তুমি কি সত্যের পথ বেছে নেবে?"

হাসান এক মুহূর্ত চোখ বন্ধ করল। তার মনের ভেতর অগণিত স্মৃতি ভেসে উঠছিল—পরীদের রাজ্যে তার প্রথম পদচারণা, নূরসাবার সঙ্গে দেখা, অন্ধকার শক্তির ভয়ানক উপস্থিতি।

সে চোখ খুলে দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "আমি আলোকে বেছে নিচ্ছি।"

সেই মুহূর্তে এক বিস্ময়কর ঘটনা ঘটল। রিহান তলোয়ার উঁচিয়ে ধরতেই বিশাল এক আলোর ঢেউ চারদিকে ছড়িয়ে পড়ল, আর কালো ছায়ামূর্তি আর্তনাদ করে পিছু হটতে লাগল।

শপথের অঙ্গীকার

বৃদ্ধ পরী নাওরিন এগিয়ে এসে বলল, "তুমি যদি আমাদের মাঝে থাকতে চাও, তবে আমাদের শপথ গ্রহণ করতে হবে।"

হাসান এক মুহূর্ত দ্বিধা করল, তারপর বলল, "আমি শপথ করছি, সত্যের পথে থাকব এবং অন্ধকারের বিরুদ্ধে দাঁড়াব।"

সঙ্গে সঙ্গে এক উজ্জ্বল আলো হাসানের চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল। তার মনে হলো, সে নতুন এক শক্তি অনুভব করছে, যেন এক নতুন দিগন্ত তার সামনে খুলে যাচ্ছে।

নতুন ভোরের সূচনা

যুদ্ধ শেষ। কালো ছায়ামূর্তি হারিয়ে গেছে। পরীদের রাজ্যে নতুন এক শান্তি নেমে এসেছে।

নূরসাবা হেসে বলল, "তুমি এখন আমাদেরই একজন।"

হাসান আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখল, সেখানে এক নতুন সূর্যোদয় হয়েছে—তার নতুন জীবনের সূচনা।

(উপসংহার: হাসানের নতুন যাত্রা শুরু—কিন্তু ভবিষ্যতে কী অপেক্ষা করছে তার জন্য?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

পর্ব ১১: আলোর সৈনিক

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

হাসানকে রক্ষার জন্য আলোর সৈনিক রিহান এগিয়ে এসেছে। কিন্তু তার সিদ্ধান্তই নির্ধারণ করবে ভবিষ্যৎ!"

আলো ও অন্ধকারের লড়াই শুরু!৷ হাসানের সিদ্ধান্ত কি পাল্টে দেবে সবকিছু?"

পর্ব ১১: আলোর সৈনিক

হাসানের দৃষ্টি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হতে লাগল। সে অনুভব করল, কালো ধোঁয়ার শিকল তার চারপাশে ঢেকে ফেলেছে, কিন্তু সামনে দাঁড়ানো আলোকিত পরীর উপস্থিতিতে সেই অন্ধকার একটু একটু করে পিছু হটছে।

রিহান, যার শরীর থেকে সোনালি আভা বিচ্ছুরিত হচ্ছিল, দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "তাকে ছেড়ে দাও!"

কালো অবয়বটি তীক্ষ্ণ কণ্ঠে চিৎকার করল, "তুমি কে, যে আমাদের পথে বাধা দিচ্ছ?"

"আমি আলোর সৈনিক, সত্যের রক্ষক। তোমার অন্ধকার এখানে টিকতে পারবে না!" রিহানের কণ্ঠ বজ্রের মতো গর্জে উঠল।

সংঘর্ষের সূচনা

চারপাশের বাতাসে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ল। একদিকে অন্ধকারের শক্তি, অন্যদিকে রিহানের আলো। নূরসাবা হাসানের পাশে এসে দাঁড়াল, তার চোখে উদ্বেগ স্পষ্ট।

"তুমি কি লড়তে পারবে?" হাসান ফিসফিস করে জিজ্ঞেস করল।

নূরসাবা একটু হাসল। "এটা শুধু লড়াই নয়, এটা আমাদের অস্তিত্বের প্রশ্ন!"

কালো ছায়া শক্তিশালী ঝড়ের মতো ধেয়ে এলো, আর রিহান আলোর তলোয়ার তুলে ধরল। মুহূর্তের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে গেল।

হাসানের সিদ্ধান্ত

হাসান দেখল, দুই পক্ষের শক্তির লড়াইয়ে পরীদের জগত কেঁপে উঠছে। সে জানে, এখানে তার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত।

নূরসাবা তার দিকে তাকিয়ে বলল, "এটাই সময়! তুমি কি সত্যের পাশে থাকবে?"

হাসান এক মুহূর্ত ভাবল, তারপর দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "আমি আলোকে বেছে নিচ্ছি!"

সেই মুহূর্তেই, এক উজ্জ্বল আলো চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল, যেন এক নতুন শক্তির আবির্ভাব হলো।

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের সিদ্ধান্ত কি পরীদের জগত বদলে দেবে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

পর্ব ১০: অন্ধকারের কারাগার

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"অন্ধকারের শক্তি হাসানকে বন্দি করেছে! কিন্তু হঠাৎ এক আলোকিত পরী তার সামনে এসে দাঁড়াল—সে কি রক্ষা পাবে?"
অজানা শক্তির বিরুদ্ধে মাহির! সে কি পরীদের রাজ্যে টিকে থাকতে পারবে?"

পর্ব ১০: অন্ধকারের কারাগার

চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল, যেন কোনো দমবন্ধ করা আবহ এসে হাজির হয়েছে। বিদ্যুৎ চমকাল, দূর থেকে এক বিকট আওয়াজ ভেসে এল।

হাসান ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল, কালো ধোঁয়ায় মোড়ানো এক বিশাল অবয়ব ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। পরীরা আতঙ্কে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে।

বৃদ্ধ পরী নাওরিন ফিসফিস করে বলল, "তুমি যদি এখনই সিদ্ধান্ত না নাও, তবে দেরি হয়ে যাবে!"

"ওটা কে?" হাসান প্রশ্ন করল।

নূরসাবা দ্রুত বলল, "ওরা আমাদের শত্রু। যদি তুমি আমাদের শপথ নাও, তবে ওরা তোমার ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু যদি দেরি করো..."

আকাশে কালো মেঘ ঘনীভূত হলো। বিশাল অবয়বটি এবার গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল, "মানুষ! তুমি আমাদের এলাকা অতিক্রম করেছ, এখন তোমার শাস্তি হবে!"

বন্দিত্বের শৃঙ্খল

হঠাৎ, অন্ধকার ধোঁয়া সর্পিল আকারে ঘুরতে শুরু করল, আর মুহূর্তের মধ্যেই হাসান অনুভব করল, তার পা জমে গেছে! সে নড়তে পারছে না!

 নূরসাবা আতঙ্কিত কণ্ঠে চিৎকার করল, "না! ওকে কষ্ট দিও না!"

কিন্তু অন্ধকার অবয়বটির চোখ দুটো লাল হয়ে জ্বলজ্বল করছিল। তার চারপাশে ছায়ার পরীসমূহ জড়ো হতে লাগল।

হাসানের দৃষ্টিতে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছিল। সে অনুভব করল, কোনো এক শক্তি যেন তাকে শুষে নিচ্ছে!

রহস্যময় ডাক

ঠিক তখনই, এক মৃদু কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠস্বর বাতাসে ভেসে এলো, "ওকে এখনই ছেড়ে দাও!"

সেই কণ্ঠস্বর শুনেই কালো ছায়ামূর্তিটি থমকে গেল। বিদ্যুৎ চমকাল, আর হঠাৎই অন্ধকার ধোঁয়া কিছুটা সরল।

একজন আলোকিত পরী সামনে এসে দাঁড়াল। তার গায়ের আভা ছিল সোনালি, চোখজোড়া নীলাভ দীপ্তিময়।

"তুমি কে?" হাসান দুর্বল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।

পরীটি তাকিয়ে বলল, "আমি তোমার শেষ রক্ষাকবচ!"

নূরসাবা তখনই ফিসফিস করে বলল, "এ হলো রিহান, আমাদের জগতের রক্ষক!"

হাসান বুঝতে পারল, সামনে এক কঠিন যুদ্ধ আসছে।

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি মুক্তি পাবে, নাকি আরও গভীর বিপদের মুখে পড়বে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

পর্ব ৯: শেষ সীমার দ্বারপ্রান্তে

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"হাসান দুই জগতের মাঝখানে দাঁড়িয়ে—সে কি পরীদের রাজ্যে থাকবে, নাকি নিজের জগতে ফিরে যাবে সব ভুলে?"

অজানা শক্তির উত্থান! হাসানের সামনে কঠিন সিদ্ধান্ত—সে কি পরীদের জগতে থাকবে, নাকি নিজের পরিচিত জগতে ফিরে যাবে?

পর্ব ৯: শেষ সীমার দ্বারপ্রান্তে

হাসান অনুভব করছিল, যেন সে দুটি ভিন্ন জগতের টানাপোড়েনে আটকে আছে। একদিকে পরিচিত বাস্তবতা, অন্যদিকে এক রহস্যময় রাজ্য, যেখানে তাকে শর্ত মানতে বলা হয়েছে।

পরীদের দল ধীরে ধীরে ঘিরে ধরল তাকে। বৃদ্ধ পরী নাওরিন সামনে এসে বলল, "তোমার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় শেষ হয়ে আসছে।"

দুই জগতের মাঝামাঝি

নূরসাবা হাসানের দিকে তাকাল। তার চোখে একধরনের আকুতি ছিল।

"তুমি কি সত্যিই সব ভুলে ফিরে যেতে চাও?"

হাসান নিঃশ্বাস নিল। যদি সে ফিরে যায়, তবে এই বিস্ময়কর অভিজ্ঞতা, নূরসাবার সঙ্গে পরিচয়—সব মুছে যাবে। কিন্তু এখানে থাকলে? সে কি সত্যিই এ জগতের অংশ হতে পারবে?

কালো ছায়ামূর্তিটি গম্ভীর কণ্ঠে বলল, "তুমি যদি ফিরে যেতে চাও, তবে এখনই বলো। আর যদি থাকতে চাও, তবে শপথ নিতে হবে।"

"কী শপথ?" হাসান সতর্ক কণ্ঠে বলল।

"যে তুমি আর কখনো মানুষের জগতে ফিরে যাবে না।"

হাসানের গা শিউরে উঠল। সে কি সত্যিই এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারবে?

অজানা শক্তির উত্থান

ঠিক তখনই, আকাশে বিদ্যুতের ঝলকানি দেখা গেল। বাতাস হঠাৎ ভারী হয়ে উঠল। আশেপাশের পরীরা আতঙ্কে পিছু হটল।

"সে জেগে উঠেছে!" কেউ একজন ফিসফিস করে বলল।

হাসান বিস্ময়ে তাকিয়ে দেখল, দূরে অন্ধকার থেকে বিশাল এক অবয়ব ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে। তার চোখজোড়া লাল, আর শরীর থেকে কালো ধোঁয়ার মতো কিছু নির্গত হচ্ছে।

নূরসাবা দ্রুত হাসানের হাত ধরে বলল, "তুমি সিদ্ধান্ত নিতে দেরি করছ, আর ওদের জগৎ সেটা সহজে মেনে নেবে না!"

"ওরা কারা?" হাসান জিজ্ঞেস করল।

বৃদ্ধ পরী নওরিন নিচু স্বরে বলল, "ওরা আমাদের বিপরীত শক্তি। এই রাজ্যে তুমি থাকলে, ওরা তোমাকে সহজে ছাড়বে না!"

হাসান বুঝতে পারল, সে শুধু একটি সিদ্ধান্তের সামনে নয়, বরং এক বিপজ্জনক যুদ্ধের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি পরীদের জগতে থেকে যাবে, নাকি নিজের জগতে ফেরার পথ খুঁজবে?)

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫

পর্ব ৮: অচেনা বিধান, অজানা শপথ

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

হাসান পরীদের রাজ্যে নতুন এক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি—সে কি থেকে যাবে, নাকি সব স্মৃতি হারিয়ে ফিরে যাবে?"
এক কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে হাসান—সে কি পরীদের বিধান মেনে নেবে, নাকি নিজের জগতে ফিরে যাবে?

পর্ব ৮: অচেনা বিধান, অজানা শপথ

হাসানেরে হৃদস্পন্দন দ্রুত হচ্ছিল। তার সামনে দাঁড়িয়ে থাকা কালো ছায়ামূর্তিটি যেন আগুনের মতো চোখ মেলে তাকিয়ে আছে। অন্য পরীরা গুঞ্জন শুরু করল, কেউ স্বাগত জানাচ্ছিল না, বরং এক অদৃশ্য আতঙ্ক যেন তাদের চেহারায় ফুটে উঠছিল।

নূরসাবা এবার শান্ত কণ্ঠে বলল, "সে এখানে এসেছে, কারণ তাকে ডাকা হয়েছে। আর সে চলে যেতে পারবে না, যতক্ষণ না..."

"যতক্ষণ না কী?"—হাসান দ্রুত জিজ্ঞেস করল।

কালো অবয়বটি এগিয়ে এল। তার কণ্ঠ যেন বজ্রের মতো গম্ভীর—"যতক্ষণ না সে আমাদের বিধান মেনে নেয়!"

পরীদের শাসন ও হাসানের সিদ্ধান্ত

হাসান চমকে গেল। "বিধান? কিসের বিধান?"

একজন সোনালি-রূপালি আভায় ঢাকা পরী ধীরে ধীরে সামনে এসে বলল, "তুমি মানুষের জগৎ থেকে এসেছ, কিন্তু এখানে আমাদের নিজস্ব নিয়ম আছে। কেউ যদি এখানে প্রবেশ করে, তাকে আমাদের শর্ত মানতেই হবে।"

"কী সেই শর্ত?" হাসান সতর্ক কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।

এক বৃদ্ধ পরী নাম নাওরিন, যার চোখে শতাব্দীর জ্ঞান জমা হয়ে আছে, এবার বলতে শুরু করল—

"তুমি যদি আমাদের জগতে থাকতে চাও, তবে তোমাকে আমাদের মতো হতে হবে। আর যদি ফিরে যেতে চাও, তবে তোমার স্মৃতি মুছে দেওয়া হবে!"

হাসান হতভম্ব হয়ে গেল। "আমার স্মৃতি মুছে যাবে?"

"হ্যাঁ," নূরসাবা ধীরে ধীরে বলল। "তুমি যদি ফিরে যাও, তবে এই জগতের কিছুই মনে থাকবে না তোমার।"

হাসান এবার সত্যি দ্বিধায় পড়ে গেল। সে কি এই জগতে থেকে যাবে, নাকি সব ভুলে ফিরে যাবে নিজের পরিচিত জীবনে?

বিপদের সঙ্কেত

ঠিক তখনই, এক অদ্ভুত আওয়াজ শোনা গেল। আকাশ কালো হতে শুরু করল, আর বাতাস ভারী হয়ে উঠল।

পরীদের মধ্যে কেউ কেউ ভীত কণ্ঠে বলল, "সে জেগে উঠেছে!"

"সে কে?" হাসান দ্রুত জিজ্ঞেস করল।

কেউ কোনো উত্তর দিল না, কিন্তু চারপাশে আলো কমতে লাগল, যেন কোনো বিশাল কিছু আসতে চলেছে।

নূরসাবা দ্রুত হাসানের দিকে তাকিয়ে বলল, "তুমি এখনো সিদ্ধান্ত নিতে পারোনি, কিন্তু সময় শেষ হয়ে আসছে!"

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি পরীদের জগতে থেকে যাবে, নাকি স্মৃতি হারিয়ে ফিরে যাবে?)

পর্ব ৭: পরীদের রাজ্যে প্রবেশ

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

"হাসান পরীদের রাজ্যে প্রবেশ করে, যেখানে তার অস্তিত্ব নিয়ে প্রশ্ন ওঠে—সে কি এখানে টিকে থাকতে পারবে?"
পরীদের রাজ্যে হাসান—কিন্তু সেখানে কি তার জন্য কোনো স্থান আছে?"

পর্ব ৭: পরীদের রাজ্যে প্রবেশ

হাসানের মনে হচ্ছিল, সে যেন বাস্তবতা থেকে ধীরে ধীরে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। তার চারপাশের পরিবেশ বদলে যাচ্ছিল—অন্ধকার এক জগৎ থেকে সে প্রবেশ করছিল এক আশ্চর্য আলোয় মোড়ানো দুনিয়ায়।

অজানা পৃথিবীর প্রথম অনুভূতি

নূরসাবা ধীরে ধীরে এগিয়ে গেল, আর হাসানেরও পা দুটো যেন আপনাআপনি তাকে অনুসরণ করল। বাতাস এখানে স্বচ্ছ, কিন্তু তাতে এক মিষ্টি ঘ্রাণ মিশে আছে। আকাশের রঙও যেন সাধারণ নীল নয়, বরং গাঢ় বেগুনি আর রুপালি আভায় ভরা।

"এ কোথায় এলাম?" হাসান বিস্ময়ে ফিসফিস করল।

নূরসাবা হেসে বলল, "এ আমাদের জগৎ, আমাদের বাসস্থান। তুমি এখন আর মানুষের দুনিয়ায় নেই।"

হাসানের গা শিউরে উঠল। সে কি সত্যিই অন্য এক জগতে প্রবেশ করল? নাকি সে কোনো বিভ্রমে আটকা পড়েছে?

পরীদের শহর

চারপাশে চোখ বোলাতেই হাসান বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে গেল। বিশাল ঝরনার মতো আলো ঝরছে চারদিকে। গাছগুলো যেন মুক্তার মতো চকচক করছে, আর তাদের পাতায় সুর বাজছে। দূরে, সোনালি মিনারের মতো উঁচু উঁচু কিছু স্থাপনা দেখা যাচ্ছিল, যা মানুষের গড়া কোনো কিছুই মনে হচ্ছিল না।

হঠাৎ, কয়েকজন হাওয়ার মতো দ্রুতগতিতে এসে নূরসাবার পাশে দাঁড়াল। তাদের চেহারায় আশ্চর্য এক ঔজ্জ্বল্য, চোখগুলো যেন নক্ষত্রের মতো দীপ্তিময়।

একজন বলে উঠল, "সে কি মানুষ?"

নূরসাবা মাথা নাড়ল। "হ্যাঁ, কিন্তু সে ব্যতিক্রমী।"

আরেকজন সন্দেহ নিয়ে বলল, "মানুষদের এখানে আনার নিয়ম নেই। তুমি কি ভুলে গিয়েছ?"

হাসান বুঝতে পারল, সে এমন এক স্থানে প্রবেশ করেছে, যেখানে তার অস্তিত্ব মেনে নেওয়া সহজ নয়।

বিপদের ইঙ্গিত

একজন অন্ধকার আচ্ছন্ন অবয়ব হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়াল। তার চোখজোড়া রক্তের মতো লাল, গলার স্বর কর্কশ।

"মানুষ এখানে টিকে থাকতে পারে না। সে এখানে কেন এসেছে?"

নূরসাবা এক পা সামনে এগিয়ে বলল, "সে নিজে আসেনি। ডাকা হয়েছে।"

হাসান বিস্ময়ে তাকাল। "কে আমাকে ডেকেছে?"

নূরসাবা কিছু বলল না, শুধু চোখ নামিয়ে নিল।

তখনই অন্ধকার অবয়বটি বিকট হাসল। "মানুষের জন্য এই রাজ্য নয়। তুমি হয় ফিরে যাবে, নয়তো…"

সে বাক্য শেষ করল না, কিন্তু হাসানের মনে হলো, তার সামনে হয়তো এক কঠিন পরীক্ষার দ্বার খুলতে চলেছে। 

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি পরীদের রাজ্যে থাকতে পারবে, নাকি তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হবে?)

পর্ব ৬: রহস্যময় সীমানার ওপারে

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া


"হাসান এক রহস্যময় সীমানায় পৌঁছে যায়, যেখানে বাস্তবতা ও কল্পনার মধ্যে পার্থক্য মুছে যেতে থাকে—সে কি সত্যের পথে, নাকি বিপদের?"
হাসান এক অজানা সীমানায় পৌঁছেছে—এখানে কি সত্যের আলো আছে, নাকি এটি শুধু বিভ্রম?

পর্ব ৬: রহস্যময় সীমানার ওপারে

হাসানের বুক ধুকপুক করছিল। সামনে অন্ধকারে ছায়ার মতো কিছু একটা নড়ে উঠল। সে চেয়ে দেখল, ধোঁয়ার মতো আবছা এক অবয়ব ধীরে ধীরে স্পষ্ট হচ্ছে।

কণ্ঠস্বর এল, কোমল, কিন্তু গভীর—

"তুমি কি সত্যিই আমাদের কাছে আসতে চাও?"

হাসান অনুভব করল, তার পায়ের নিচের মাটি যেন একটু একটু করে মিলিয়ে যাচ্ছে। সে কোনো সুনির্দিষ্ট স্থানে নেই, অথচ পড়েও যাচ্ছে না।

তার চারপাশে আলো-আঁধারির খেলা। যেন রাতের আকাশে তারার ঝিলমিল, কিন্তু তার মধ্যে কিছু একটা অস্বাভাবিক।

অজানা জগতের প্রথম স্পর্শ

সে এক ঝটকায় নিজেকে সামলে নিল। "তুমি কে?" হাসান জিজ্ঞেস করল।

অবয়বটি আরেকটু স্পষ্ট হলো। এখন সেটিকে স্পষ্টতই একটি মেয়ের রূপে দেখা যাচ্ছে—কিন্তু স্বাভাবিক মানুষের মতো নয়।

তার চোখ দুটো গভীর সমুদ্রের মতো, চুলগুলো মৃদু বাতাসে উড়ছে, আর তার চারপাশে এক অদ্ভুত আভা।

"আমি "নূরসাবা মেয়েটি বলল। "তুমি আমাদের পৃথিবীর দোরগোড়ায় চলে এসেছ।"

হাসান কেঁপে উঠল। "তোমাদের পৃথিবী?"

 নূরসাবা হেসে বলল, "তুমি কি কখনো শুনেছ, কিছু মানুষ দুটি জগতের সীমানায় দাঁড়াতে পারে?"

হাসান মনে মনে কুরআনের সেই আয়াতের কথা ভাবল—

"وَخَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِن صَلْصَٰلٍۢ مِّنْ حَمَإٍۢ مَّسْنُونٍۢ وَٱلْجَآنَّ خَلَقْنَٰهُ مِن قَبْلُ مِن نَّارِ ٱلسَّمُومِ"
"আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি পোড়ামাটির মতো শুকনো কাদা থেকে, আর জিনকে সৃষ্টি করেছি আগুনের শিখা থেকে।" (সূরা আল-হিজর: ২৬-২৭)

"তাহলে…তুমি কি জিন?" হাসান জিজ্ঞেস করল।

নূরসাবা কিছু বলল না, শুধু এক পা সামনে এগিয়ে এলো। হাসান অনুভব করল, তার শরীর হালকা হয়ে যাচ্ছে, যেন সে ধীরে ধীরে অন্য কোথাও প্রবেশ করছে।

অন্য দুনিয়ার দ্বারপ্রান্তে

চারপাশের দৃশ্য বদলে যেতে লাগল। মাটি, আকাশ, বাতাস—সবকিছু যেন ভিন্ন রূপ নিতে শুরু করল।

"এটি কেবল শুরু," নূরসাবা বলল।

হাসান বুঝতে পারল, সে এক নতুন বাস্তবতার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। কিন্তু এটি কি রহস্য উন্মোচনের পথ, নাকি এক অজানা বিপদে জড়িয়ে পড়ার শুরু?

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের সামনে উন্মোচিত হয় পরীদের রাজ্য)

পর্ব ৫: অদৃশ্য পথের যাত্রীঃ

 

উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া

হাসান এক রহস্যময় সংকেত পায়, যা তাকে অজানা এক জগতে প্রবেশের আহ্বান জানায়—সে কি সত্যের পথে, নাকি বিভ্রমের ফাঁদে?"

"এক রহস্যময় আহ্বান হাসানকে ডাকছে—সে কি অজানা জগতে পা রাখবে, নাকি পিছু হটবে?"



"রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে গিয়েছিল হাসানের অস্থির হৃদস্পন্দনে। সে জানালার বাইরে তাকিয়ে রইল, কিন্তু ছায়ামূর্তিটি যেন হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেল। এক অজানা অনুভূতি তার ভেতর কাজ করছিল—ভয়, কৌতূহল, আর এক রহস্যময় আকর্ষণ।

পরদিন সকালে হাসান কিতাবের সেই রহস্যময় পাতাটি আবার খুলল। এবার সে গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করল। সেখানে লেখা ছিল—

"যারা সত্যের পথ খোঁজে, তাদের জন্য সংকেত আসে। কিন্তু সতর্ক থাকো! প্রতিটি আলোই সত্য নয়, প্রতিটি ছায়াই মন্দ নয়।"

এই বাক্যগুলো যেন হাসানকে দ্বিধায় ফেলে দিল। পরী কি সত্যিই তাকে ডেকে নিচ্ছে? নাকি সে এক বিভ্রমের জগতে প্রবেশ করতে চলেছে?

অদৃশ্য পথের শুরু

রাত ঘনিয়ে এলো। হাসান অজানা এক শিহরণ অনুভব করছিল। আগের রাতের মতোই জানালার বাইরে থেকে সেই সুগন্ধ ভেসে আসছিল। বাতাসে এক অদৃশ্য আহ্বান যেন তাকে ডাকছিল।

হঠাৎ, ঘরের এক কোণে এক মৃদু আলো ফুটে উঠল। হাসান তাকিয়ে দেখল—সেই রহস্যময় কাগজের টুকরোটি এবার আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

তার গায়ে নতুন কিছু লেখা দেখা গেল—

"তুমি কি প্রস্তুত?"

হাসানের দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তার সামনে কি সত্যিই এক নতুন জগতের দ্বার খুলতে চলেছে?

অচেনা দরজার ওপারে

হাসান ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করল। তার মনে পড়ল, স্বপ্নে সে যে দরজাটি দেখেছিল, সেটির নকশা এখনো তার মনের মধ্যে গেঁথে আছে।

হঠাৎ চারপাশের পরিবেশ বদলে যেতে লাগল। বাতাস থমথমে হয়ে এলো, জানালার পর্দা যেন অদৃশ্য শক্তিতে নড়ে উঠল।

তার কানে সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো—

"তুমি কি সত্যিই আমাদের জগতে প্রবেশ করতে চাও?"

মাহির দ্রুত চোখ খুলল। তার সামনে একটি ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল।

এ কি সেই পরী? নাকি অন্য কিছু?

তার সামনে কি সত্যের জগৎ খুলতে চলেছে, নাকি সে এক অজানা বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

(পরবর্তী পর্ব: হাসানের সামনে প্রকাশ পায় এক নতুন বাস্তবতা)