উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
পর্ব ১৮: অন্ধকারের প্রহরী
হাসান শক্ত হাতে তলোয়ার চেপে ধরল। সামনে দাঁড়িয়ে থাকা বিশাল ছায়ামূর্তির চোখ দুটো অগ্নিশিখার মতো জ্বলছে। তার কণ্ঠস্বর গভীর ও রহস্যময়—
"তুমি আমাদের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছ, হাসান! আলোকে রক্ষা করার দুঃসাহস দেখিয়েছ!"
হাসান জানে, এটি কোনো সাধারণ প্রতিপক্ষ নয়। পরীদের জগতে আসার পর এত শক্তিশালী কোনো অস্তিত্বের মুখোমুখি সে কখনো হয়নি।
প্রথম আঘাত
হঠাৎ করেই সেই ছায়ামূর্তি হাত বাড়াল, আর চারপাশের বাতাস ঘন কালো হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যেই এক বিশাল ধাক্কা হাসানকে পেছনে ফেলে দিল!
সে দ্রুত উঠে দাঁড়াল। পরীদের যেসব জাদু শেখা উচিত ছিল, তা সে পুরোপুরি রপ্ত করতে পারেনি। কিন্তু এখন পেছনে ফেরার উপায় নেই!
"আলো কখনো অন্ধকারের কাছে হার মানবে না!" হাসান দৃঢ়স্বরে বলল।
তার শরীরের চারপাশে একদম স্বচ্ছ আলোর বলয় তৈরি হলো, যা সেই অন্ধকার ছায়াকে কিছুটা হলেও দূরে ঠেলে দিল।
পরীদের আগমন
ঠিক সেই মুহূর্তে, নূরসাবা আর রিহান ছুটে এলো। তাদের সঙ্গেও কয়েকজন শক্তিশালী পরী রয়েছে, যারা যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত। বৃদ্ধ পরী নাওরিন এক ঝলক তাকিয়েই বুঝে গেলেন বিপদ কতটা ভয়ানক।
"এটা শুধু শুরু, হাসান," বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন। "এই ছায়া একা নয়, এদের নেতা আরও শক্তিশালী। আমাদের এখনই প্রস্তুত হতে হবে!"
অন্ধকারের হুমকি
ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে মিলিয়ে যেতে লাগল, কিন্তু যাওয়ার আগে এক শীতল হেসে বলল,
"আজ তুমি বেঁচে গেছ, হাসান! কিন্তু মনে রেখো, আমরা ফিরে আসব। এবং তখন কেউ তোমাকে বাঁচাতে পারবে না!"
হাসানের কপালে বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে উঠল। সত্যিই কি সে প্রস্তুত? পরীদের জগৎ কি অন্ধকারের শক্তির সামনে টিকে থাকতে পারবে?