GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

মঙ্গলবার, ১৪ জানুয়ারী, ২০২৫

সাকিব ও তুহিনার ভালোবাসার নামাজ

 গল্প: ভালোবাসার নামাজ

সাকিব ও তুহিনার ইসলামিক আদর্শে গড়া দাম্পত্য জীবনের হৃদয়স্পর্শী গল্প।"
সাকিব ও তুহিনার ইসলামিক আদর্শে গড়া দাম্পত্য জীবনের হৃদয়স্পর্শী গল্প।"


ভূমিকা


 সাকিব ও তুহিনা, একটি নবদম্পতি। তাদের জীবনযাত্রা ইসলামি আদর্শের উপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা। বিয়ের পর তারা একে অপরকে নিয়ে নতুন জীবনের সূচনা করে। কিন্তু এই পথচলা শুধু আনন্দময় ছিল না, ছিল কিছু চ্যালেঞ্জ এবং শেখার অধ্যায়।


গল্পের শুরু


সাকিব  তার অফিসের কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত ছিল। প্রায়ই সে এতটাই ব্যস্ত থাকত যে, তুহিনার সঙ্গে সময় কাটানোর সুযোগ পেত না। তুহিনা কিছু বলেনি, কিন্তু তার মনের গভীরে একটা শূন্যতা অনুভূত হচ্ছিল।


একদিন, সকালে তুহিনা কুরআন তিলাওয়াত করতে বসেছিল। "তোমরা তোমাদের স্ত্রীর সঙ্গে সদাচার করো; কেননা তারা তোমাদের জীবনসঙ্গিনী এবং তোমাদের অর্ধেক ঈমানের অংশ।" - এই আয়াতটি পড়ে তার চোখে জল চলে এল।


সে ঠিক করল, তার স্বামীকে আল্লাহর নির্দেশিত ভালোবাসার পথে ফিরিয়ে আনবে।


পরিকল্পনা


তুহিনা সাকিবের জন্য বিশেষ কিছু করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে ভোরে উঠে একগুচ্ছ গোলাপের সঙ্গে একটা নোট লিখে রাখল। সেখানে লেখা ছিল:


"আমাদের ভালোবাসার ভিত যেন ইসলামি আদর্শের উপর গড়ে ওঠে। আজ সন্ধ্যায় একসঙ্গে নামাজ পড়ব, তোমার সময় চাই।"


পরিবর্তনের সূচনা


সাকিব কাজ থেকে ফিরে গোলাপ এবং নোট দেখে বিস্মিত হয়। সে তুহিনার কাছে এসে বলে, "তুমি এত সুন্দর করে কথা বললে কেন? আমি তো এতদিন তোমাকে সময়ই দেইনি।"


তুহিনা হেসে উত্তর দিল, "আমাদের ভালোবাসা আল্লাহর পথে হওয়া উচিত। আমি চাই তুমি আমার সঙ্গে সময় কাটাও, কিন্তু তার সঙ্গে সঙ্গে যেন আমাদের ইবাদতও হয়।"


সেদিন সন্ধ্যায় তারা একসঙ্গে নামাজ পড়ল। নামাজের পর তুহিনা একটি হাদিস পড়ে শোনাল:

"তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তি উত্তম যে তার স্ত্রীর প্রতি উত্তম আচরণ করে।"


সাকিব তখন গভীরভাবে অনুভব করল, তার ভালোবাসার প্রকাশ শুধু উপহার বা সময়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং তার স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর আচরণ ও ধর্মীয় নির্দেশনার সঙ্গে জীবনযাপনেও রয়েছে।


ফলাফল


তারপর থেকে, সাকিব প্রতিদিন তুহিনার জন্য সময় বের করে। তারা একসঙ্গে কুরআন তিলাওয়াত করে, হাদিস নিয়ে আলোচনা করে এবং একে অপরকে আল্লাহর পথে এগিয়ে নিয়ে যায়। তাদের ভালোবাসা শুধুই দাম্পত্য জীবন নয়, বরং জান্নাতের পথে একসঙ্গে চলার অঙ্গীকার।


উপসংহার


স্বামী-স্ত্রীর ভালোবাসা কেবল পার্থিব বিষয় নয়, এটি একে অপরকে জান্নাতের পথে এগিয়ে নেয়ারও মাধ্যম। ইসলামের নির্দেশিত পথে ভালোবাসার ভিত্তি গড়ে তুললে সেই সম্পর্ক হবে অনন্য এবং চিরস্থায়ী।

লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 


1 টি মন্তব্য:

আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"