উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
পর্ব ১০: অন্ধকারের কারাগার
চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল, যেন কোনো দমবন্ধ করা আবহ এসে হাজির হয়েছে। বিদ্যুৎ চমকাল, দূর থেকে এক বিকট আওয়াজ ভেসে এল।
হাসান ঘাড় ঘুরিয়ে দেখল, কালো ধোঁয়ায় মোড়ানো এক বিশাল অবয়ব ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে। পরীরা আতঙ্কে একে অপরের দিকে তাকাচ্ছে।
বৃদ্ধ পরী নাওরিন ফিসফিস করে বলল, "তুমি যদি এখনই সিদ্ধান্ত না নাও, তবে দেরি হয়ে যাবে!"
"ওটা কে?" হাসান প্রশ্ন করল।
নূরসাবা দ্রুত বলল, "ওরা আমাদের শত্রু। যদি তুমি আমাদের শপথ নাও, তবে ওরা তোমার ক্ষতি করতে পারবে না। কিন্তু যদি দেরি করো..."
আকাশে কালো মেঘ ঘনীভূত হলো। বিশাল অবয়বটি এবার গম্ভীর কণ্ঠে বলে উঠল, "মানুষ! তুমি আমাদের এলাকা অতিক্রম করেছ, এখন তোমার শাস্তি হবে!"
বন্দিত্বের শৃঙ্খল
হঠাৎ, অন্ধকার ধোঁয়া সর্পিল আকারে ঘুরতে শুরু করল, আর মুহূর্তের মধ্যেই হাসান অনুভব করল, তার পা জমে গেছে! সে নড়তে পারছে না!
নূরসাবা আতঙ্কিত কণ্ঠে চিৎকার করল, "না! ওকে কষ্ট দিও না!"
কিন্তু অন্ধকার অবয়বটির চোখ দুটো লাল হয়ে জ্বলজ্বল করছিল। তার চারপাশে ছায়ার পরীসমূহ জড়ো হতে লাগল।
হাসানের দৃষ্টিতে সবকিছু ঝাপসা হয়ে আসছিল। সে অনুভব করল, কোনো এক শক্তি যেন তাকে শুষে নিচ্ছে!
রহস্যময় ডাক
ঠিক তখনই, এক মৃদু কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠস্বর বাতাসে ভেসে এলো, "ওকে এখনই ছেড়ে দাও!"
সেই কণ্ঠস্বর শুনেই কালো ছায়ামূর্তিটি থমকে গেল। বিদ্যুৎ চমকাল, আর হঠাৎই অন্ধকার ধোঁয়া কিছুটা সরল।
একজন আলোকিত পরী সামনে এসে দাঁড়াল। তার গায়ের আভা ছিল সোনালি, চোখজোড়া নীলাভ দীপ্তিময়।
"তুমি কে?" হাসান দুর্বল কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
পরীটি তাকিয়ে বলল, "আমি তোমার শেষ রক্ষাকবচ!"
নূরসাবা তখনই ফিসফিস করে বলল, "এ হলো রিহান, আমাদের জগতের রক্ষক!"
হাসান বুঝতে পারল, সামনে এক কঠিন যুদ্ধ আসছে।
(পরবর্তী পর্ব: হাসান কি মুক্তি পাবে, নাকি আরও গভীর বিপদের মুখে পড়বে?)
লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"