উপন্যাস: পরীর ছোয়া
পর্ব ১৯: সত্যের আলো বনাম অন্ধকারের ছায়া
রাত গভীর হয়েছে। হাসান বসে আছে এক বিশাল বটগাছের নিচে। সারা দিনের যুদ্ধের পর তার শরীর ক্লান্ত, কিন্তু মন অস্থির। অন্ধকার শক্তি ফিরে আসবে, এটা সে নিশ্চিত।
"হে আল্লাহ! আমাকে হক আর বাতিলের পার্থক্য বোঝার তৌফিক দাও," হাসান মনে মনে দোয়া করল।
পরীদের পরিকল্পনা
বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন, "তোমার পরীক্ষার সময় শেষ হয়নি, হাসান। সত্যিকারের রক্ষক হতে হলে তোমাকে কেবল বাহ্যিক শক্তিতে নয়, আত্মার শক্তিতেও দৃঢ় হতে হবে।"
নূরসাবা যোগ করল, "তুমি কি জানো, সত্যের পথে চলতে গেলে সবসময় পরীক্ষা আসে? আল্লাহ কুরআনে বলেছেন—"
"আপনারা কি মনে করেন যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ বললেই ছেড়ে দেওয়া হবে, আর তাদের পরীক্ষা করা হবে না?"
(সুরা আনকাবুত: ২)
হাসান স্তব্ধ হয়ে গেল। সত্যিই তো, সে কি ধৈর্য ধরে সত্যের পথে থাকতে পারবে?
রমজানের আলো ও আত্মশুদ্ধি
রিহান বলল, "এখন তো রমজান চলছে! মাহির, তুমি কি জানো রমজানের গুরুত্ব?"
বৃদ্ধ পরী নাওরিন বললেন, "রমজান আত্মশুদ্ধির মাস। এই মাসে শয়তানকে বন্দি করা হয়, আর আমরা আমাদের নফসকে দমন করার শিক্ষা পাই।"
"রমজান এমন একটি মাস, যাতে কুরআন নাজিল হয়েছে, যা মানুষের জন্য হিদায়াতস্বরূপ এবং সঠিক পথ ও ন্যায়ের সুস্পষ্ট প্রমাণ।"
(সুরা আল-বাকারা: ১৮৫)
হাসান অনুভব করল, এখন সে শুধু বাহ্যিক শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ছে না, বরং তার নিজের আত্মার সঙ্গেও যুদ্ধ করছে।
অন্ধকারের নেতা প্রকাশ পেল!
হঠাৎ করে চারপাশের বাতাস ভারী হয়ে উঠল। এক রহস্যময় কণ্ঠস্বর শোনা গেল—
"তোমরা যদি মনে করো, আলো তোমাদের রক্ষা করবে, তবে ভুল করছ! আমি আসছি… হাসান' তুমি প্রস্তুত তো?"
সবাই চমকে উঠল! এবার সত্যিকারের যুদ্ধ শুরু হতে যাচ্ছে!
Masaallah khub sunbar
উত্তরমুছুন