উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
হাসান ভেবেছিল, সে ফিরে এসে সত্যের পথে মানুষকে ডাকবে, শান্তির বার্তা ছড়াবে। কিন্তু সে জানত না, তার সামনে অপেক্ষা করছে এমন এক চ্যালেঞ্জ, যা তার ঈমানকেই প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে।
নতুন সংকটের সূচনা
একদিন রাতে হাসান যখন মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে ফিরছিল, তখন হঠাৎ ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করল। চারপাশ যেন মুহূর্তেই অন্ধকার হয়ে গেল।
"এটা কী হচ্ছে?" হাসান মনে মনে ভাবল।
ঠিক তখনই তার সামনে এক অদ্ভুত ছায়ামূর্তি দেখা গেল। সেটি ধীরে ধীরে রূপ নিতে লাগল, আর হাসান হতভম্ব হয়ে পড়ল।
"তুমি কি আমাকে চিনতে পেরেছো?" গভীর, কর্কশ এক কণ্ঠস্বর ভেসে এল।
অতীতের শত্রুর ফিরে আসা
হাসান হঠাৎ বুঝতে পারল—এ তো সেই অশুভ শক্তি, যে পরীদের রাজ্যে তাকে শেষ করে দিতে চেয়েছিল!
"তুমি তো এখান থেকে চলে গিয়েছিলে!" হাসান দৃঢ় কণ্ঠে বলল।
"হ্যাঁ, কিন্তু আমি তো ফিরে এসেছি! তুমি ভাবছো, শুধু পরীদের রাজ্যেই আমাদের ক্ষমতা ছিল? না, আমরা এই দুনিয়াতেও কাজ করি, এবং আমরা তোমাকে ধ্বংস করব!"
হাসান বুঝতে পারল, এটি আরেকটি পরীক্ষা।
কুরআনের শক্তি
সে দৃঢ়ভাবে বলল, "আমি আল্লাহর সাহায্য চাইছি, তোমাদের মতো অশুভ শক্তি আমাকে ভয় দেখাতে পারবে না!"
সে সাথে সাথে আয়াতুল কুরসী পড়তে লাগল—
"আল্লাহ! তিনি ছাড়া কোনো ইলাহ নেই। তিনি চিরঞ্জীব, শাশ্বত সত্তা। তাঁকে তন্দ্রা এবং নিদ্রা স্পর্শ করে না..."
(সূরা বাকারা: ২৫৫)
তারপর মুহূর্তের মধ্যেই সেই ছায়ামূর্তি কেঁপে উঠল, যেন আগুনে পোড়ার মতো ব্যথায় ছটফট করছে।
একটি নতুন সংকল্প
হাসান বুঝতে পারল, এই দুনিয়াতেও শয়তানের ফাঁদ সর্বত্র। শুধু জিন-পরীর রাজ্যে নয়, মানুষকেও বিভ্রান্ত করার জন্য শয়তান সবসময়ই তৎপর।
সেই রাতে সে দৃঢ় সংকল্প করল—
"আমি কখনো সত্যের পথ ছাড়ব না, যত বিপদই আসুক না কেন!"
কিন্তু সে জানত না, সামনে অপেক্ষা করছে আরও বড় বিপদ…
Masaalla
উত্তরমুছুন