GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫

খালিদের তাওবা: আদিবার ধৈর্যের জয়


"বিচ্ছেদের আঘাতে শিক্ষা"

খালিদ ও আদিবার জীবনের সংগ্রাম আমাদের শিখিয়েছে, তাওবা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ সম্ভব।"
খালিদ ও আদিবার জীবনের সংগ্রাম আমাদের শিখিয়েছে, তাওবা ও ধৈর্যের মাধ্যমে সম্পর্কের পুনর্নির্মাণ সম্ভব।"


পটভূমি:

উপন্যাসটি গড়ে উঠবে দুটি পরিবারকে কেন্দ্র করে। মূল চরিত্রগুলো হলো খালিদ এবং আদিবা। খালিদ  একজন ব্যবসায়ী এবং আদিবা তার স্ত্রী। তাদের সুখের সংসার ধ্বংস হয়ে যায় যখন আদিবা জানতে পারে, খালিদ একজন সহকর্মীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন।


চরিত্রাবলী:


1. খালিদ: সফল ব্যবসায়ী, কিন্তু জীবনের পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ঈমানি দুর্বলতার শিকার হন।



2. আদিবা: খালিদের স্ত্রী, আল্লাহভীরু এবং ধৈর্যশীল নারী।



3. সাবিনা: আরিফের সহকর্মী, যার সঙ্গে পরকীয়ার সম্পর্ক হয়।



4. মুফতি ওবায়দুল্লাহ: একজন আলেম, যিনি উপন্যাসের শেষভাগে শিক্ষা ও সমাধান নিয়ে আসবেন।


কাহিনী সংক্ষেপ:


প্রথম অংশ:

খালিদ ও আদিবার সুখের সংসারের বর্ণনা দিয়ে কাহিনী শুরু হয়। তারা দু’জনেই দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ। কিন্তু খালিদ তার অফিসের সহকর্মী সাবিনার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েন। ধীরে ধীরে আদিবা খালিদের পরিবর্তন টের পায় এবং সন্দেহের সূচনা হয়।


দ্বিতীয় অংশ:

একদিন আদিবা খালিদের মোবাইলে একটি বার্তা দেখে পুরো ব্যাপারটি জানতে পারেন। আদিবা ভীষণভাবে ভেঙে পড়েন এবং আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করেন। কোরআনের একটি আয়াত তার মানসিক শক্তি জোগায়:

“আর ব্যভিচারের কাছেও যেয়ো না। নিশ্চয়ই এটি অশ্লীল এবং নিকৃষ্ট আচরণ।”

(সুরা আল-ইসরা, আয়াত ৩২)


আদিবা তার শ্বশুরবাড়ির সাহায্য চায়, কিন্তু তারা সমস্যার সমাধানে ব্যর্থ হয়।


তৃতীয় অংশ:

আদিবা আল্লাহর ওপর ভরসা রেখে ধৈর্য ধারণ করেন। মুফতি ওবায়দুল্লাহ কাছে যান এবং তার সমস্যার কথা বলেন। মুফতি ওবায়দুল্লাহ সাবধান করেন যে, "যে ব্যক্তি তার স্ত্রী বা স্বামীর অধিকার লঙ্ঘন করে এবং হারাম সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে, তাকে কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।"


তিনি নবী (সা.)-এর হাদিস উল্লেখ করেন:

“কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে সবচেয়ে অপছন্দনীয় হালাল হলো তালাক।”

(সুনান আবু দাউদ, হাদিস: ২১৭৮)


চতুর্থ অংশ:

খালিদ একদিন বুঝতে পারেন, তার এই সম্পর্ক তাকে শান্তি দিতে পারছে না। সাবিনা তাকে ছেড়ে চলে যায় এবং তার কর্মক্ষেত্রে বদনাম হয়। তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন এবং আদিবার কাছে ফিরে যেতে চান।


শেষ অংশ:

আদিবা সিদ্ধান্ত নেন যে খালিদকে একটি সুযোগ দেবেন, কারণ তিনি তাওবা করে আল্লাহর পথে ফিরে এসেছেন। তিনি বলেন:

“তোমরা যদি আল্লাহর পথে ফিরে আসো, তাহলে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করবেন। নিশ্চয়ই আল্লাহ অতিশয় দয়ালু ও পরম ক্ষমাশীল।”

(সুরা আন-নিসা, আয়াত ১১০)


তারা নতুন করে জীবন শুরু করেন, এবং খালিদ তার ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে পরিবারকে সময় দিতে শুরু করেন।


উপন্যাসের শিক্ষা:

1. হারাম সম্পর্কে জড়ানো কীভাবে দাম্পত্য জীবন ধ্বংস করে।

2. কোরআন ও হাদিস অনুযায়ী পরকীয়া ও এর শাস্তি।

3. তাওবার গুরুত্ব এবং আল্লাহর কাছে ফিরে আসার পথ।

4. ইসলামে বিবাহবিচ্ছেদের অপছন্দনীয়তা এবং সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার চেষ্টা।


লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব 

৩টি মন্তব্য:

আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"