উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
"রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে গিয়েছিল হাসানের অস্থির হৃদস্পন্দনে। সে জানালার বাইরে তাকিয়ে রইল, কিন্তু ছায়ামূর্তিটি যেন হাওয়ার মতো মিলিয়ে গেল। এক অজানা অনুভূতি তার ভেতর কাজ করছিল—ভয়, কৌতূহল, আর এক রহস্যময় আকর্ষণ। |
পরদিন সকালে হাসান কিতাবের সেই রহস্যময় পাতাটি আবার খুলল। এবার সে গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়তে শুরু করল। সেখানে লেখা ছিল—
"যারা সত্যের পথ খোঁজে, তাদের জন্য সংকেত আসে। কিন্তু সতর্ক থাকো! প্রতিটি আলোই সত্য নয়, প্রতিটি ছায়াই মন্দ নয়।"
এই বাক্যগুলো যেন হাসানকে দ্বিধায় ফেলে দিল। পরী কি সত্যিই তাকে ডেকে নিচ্ছে? নাকি সে এক বিভ্রমের জগতে প্রবেশ করতে চলেছে?
অদৃশ্য পথের শুরু
রাত ঘনিয়ে এলো। হাসান অজানা এক শিহরণ অনুভব করছিল। আগের রাতের মতোই জানালার বাইরে থেকে সেই সুগন্ধ ভেসে আসছিল। বাতাসে এক অদৃশ্য আহ্বান যেন তাকে ডাকছিল।
হঠাৎ, ঘরের এক কোণে এক মৃদু আলো ফুটে উঠল। হাসান তাকিয়ে দেখল—সেই রহস্যময় কাগজের টুকরোটি এবার আরও উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।
তার গায়ে নতুন কিছু লেখা দেখা গেল—
"তুমি কি প্রস্তুত?"
হাসানের দম বন্ধ হয়ে আসছিল। তার সামনে কি সত্যিই এক নতুন জগতের দ্বার খুলতে চলেছে?
অচেনা দরজার ওপারে
হাসান ধীরে ধীরে চোখ বন্ধ করল। তার মনে পড়ল, স্বপ্নে সে যে দরজাটি দেখেছিল, সেটির নকশা এখনো তার মনের মধ্যে গেঁথে আছে।
হঠাৎ চারপাশের পরিবেশ বদলে যেতে লাগল। বাতাস থমথমে হয়ে এলো, জানালার পর্দা যেন অদৃশ্য শক্তিতে নড়ে উঠল।
তার কানে সেই পরিচিত কণ্ঠস্বর ভেসে এলো—
"তুমি কি সত্যিই আমাদের জগতে প্রবেশ করতে চাও?"
মাহির দ্রুত চোখ খুলল। তার সামনে একটি ছায়ামূর্তি ধীরে ধীরে স্পষ্ট হয়ে উঠছিল।
এ কি সেই পরী? নাকি অন্য কিছু?
তার সামনে কি সত্যের জগৎ খুলতে চলেছে, নাকি সে এক অজানা বিপদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে?
লেখক: মাওলানা মোঃ সাকিব
(পরবর্তী পর্ব: হাসানের সামনে প্রকাশ পায় এক নতুন বাস্তবতা)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"