উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
পর্ব ১৬: চূড়ান্ত পরীক্ষা
হাসান অগ্নিপথের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। এখন তার সামনে অপেক্ষা করছে শেষ ও সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ—চূড়ান্ত পরীক্ষা। এটি শুধু শারীরিক নয়, বরং তার মনেরও এক কঠিন পরীক্ষা হতে চলেছে।
আলোর দরজার সামনে
বৃদ্ধ পরী নাওরিন হাসানকে এক বিশাল স্ফটিকের দরজার সামনে নিয়ে এলেন। দরজার ওপার থেকে এক মৃদু আলো বের হচ্ছিল, কিন্তু সেই আলো যেন রহস্যময়ভাবে তাকে ডাকছিল।
"এটাই তোমার শেষ পরীক্ষা, হাসান," বৃদ্ধ পরী নওরিন বললেন। "এই দরজার ওপারে প্রবেশ করলে তোমার আত্মার প্রকৃত শক্তি প্রকাশ পাবে। কিন্তু মনে রেখো, এখানে তোমার সমস্ত ভয়, সন্দেহ, এবং লোভ তোমার বিরুদ্ধে দাঁড়াবে। তুমি কি প্রস্তুত?"
হাসান গভীর শ্বাস নিল। অগ্নিপথের অভিজ্ঞতা তাকে শিখিয়েছে, সত্যিকারের শক্তি বাহ্যিক কিছু নয়—এটি মন ও আত্মার একটি গুণ। সে দৃঢ়ভাবে বলল, "আমি প্রস্তুত!"
মনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ
দরজা খুলতেই চারপাশ কালো কুয়াশায় ঢেকে গেল। হঠাৎ তার সামনে ভেসে উঠল এক পরিচিত মুখ—তার ছোটবেলার বন্ধু রুমন, যে অনেক বছর আগে এক সরক দুর্ঘটনায় মারা গিয়েছিল। রুমন মৃদু হেসে বলল, "হাসান, তুমি কি সত্যিই মনে করো তুমি আমাদের ছেড়ে নতুন এক জগতে চলে যেতে পারবে? তোমার পুরনো জীবন তোমাকে ডাকছে!"
হাসান হতবাক! এ কেমন পরীক্ষা?
তারপর একে একে তার পরিবারের মুখ, পুরনো স্মৃতি, এমনকি তার হারিয়ে যাওয়া স্বপ্নগুলোও সামনে এসে দাঁড়ালো। সবকিছু যেন তাকে টেনে নিয়ে যেতে চায়।
সত্যের পথে অটল থাকা
হাসান চোখ বন্ধ করল। তার অন্তর থেকে একটা স্বর ভেসে এলো—"তুমি যদি সত্যের পথ বেছে নাও, তবে এই বিভ্রমের কাছে হার মানবে না!"
সে চোখ খুলে দৃঢ়ভাবে বলল, "এগুলো শুধু মায়া। আমার পথ নির্ধারিত! আমি সত্য ও আলোকে বেছে নিয়েছি!"
তৎক্ষণাৎ সব বিভ্রম ভেঙে গেল, আর তার চারপাশ উজ্জ্বল আলোয় ভরে উঠল।
আলোর রক্ষকের অভিষেক
হাসান দরজার ওপারে পৌঁছে গেল, যেখানে পরীদের জগৎ এক নতুনভাবে উদ্ভাসিত। বৃদ্ধ পরী নাওরিন তার সামনে এসে বললেন, "অভিনন্দন, হাসান! তুমি চূড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছ। আজ থেকে তুমি আমাদের আলোর রক্ষক!"
রিহান ও নূরসাবা উল্লাস করে বলল, "তুমি পেরেছ, হাসান!"
হাসান হাসল। তার যাত্রা শেষ নয়, বরং এক নতুন দিগন্তের সূচনা হয়েছে।
জিন পরী নিয়ে এরকম লেখা আমি কোথাও পাইনি আপনি চালিয়ে যান
উত্তরমুছুন