উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
পর্ব ১৭: অন্ধকারের ডাক
হাসানের পরীক্ষাগুলো শেষ হয়েছে, কিন্তু এখনো তার আসল লড়াই শুরু হয়নি। পরীদের জগতে আলোর রক্ষক হিসেবে তার পরিচয় গড়ে উঠলেও, অন্ধকার শক্তি চুপচাপ বসে নেই। গভীর রাতের এক অদ্ভুত মুহূর্তে সে অনুভব করল, কেউ তাকে ডাকছে…
অজানা কণ্ঠস্বর
“হাসান… তুমি কি মনে করো, সত্যকে বেছে নিয়ে তুমি জয়ী হয়েছ?”
হাসান ঘুমের ঘোরে শুনতে পেল এই রহস্যময় কণ্ঠস্বর। সে চোখ মেলে দেখল, তার সামনে এক কালো ছায়া। আগের পরীক্ষাগুলোতে যা কিছু দেখেছে, তার তুলনায় এই ছায়ার অস্তিত্ব অনেক বেশি ভয়ঙ্কর ও বাস্তব।
“তুমি কেবল আলোর এক কণা পেয়েছ। কিন্তু তুমি কি জানো, আলো যতই শক্তিশালী হোক, অন্ধকার তাকে গ্রাস করতেই পারে?”
হাসান কাঁপতে কাঁপতে উঠে দাঁড়াল। তার হৃদয় জোরে ধুকধুক করছিল। কিন্তু এই সময়েই, আশপাশের বাতাস ভারী হয়ে এলো। সে অনুভব করল, কিছু একটা ভুল হচ্ছে।
পরীদের সতর্কবার্তা
সকাল হতেই হাসান তার অভিজ্ঞতা বৃদ্ধ পরী নাওরিনকে জানাল। বৃদ্ধ পরীর মুখ মুহূর্তেই কঠিন হয়ে গেল।
“অবশেষে তারা এসে গেছে…” তিনি দীর্ঘশ্বাস ফেললেন।
“তারা?” হাসান প্রশ্ন করল।
“অন্ধকারের প্রহরীরা। তারা বহু বছর ধরে আলোর রক্ষকদের বিরুদ্ধে কাজ করছে। তুমি এখন তাদের টার্গেট। যদি তারা তোমাকে ফাঁদে ফেলতে পারে, তবে তুমি চিরতরে হারিয়ে যাবে।”
হাসান শিহরিত হয়ে উঠল। তার তো ধারণাই ছিল না, এত বড় বিপদ অপেক্ষা করছে!
অন্ধকারের প্রথম আঘাত
সন্ধ্যা নামতেই জঙ্গলের ভেতর এক অদ্ভুত শীতল বাতাস বইতে লাগল। হঠাৎই গাছপালাগুলো অস্বাভাবিকভাবে নড়তে লাগল, যেন কিছু একটা তাদের ভেতরে লুকিয়ে আছে।
রিহান ছুটে এসে বলল, “হাসান! তাড়াতাড়ি আসো! কেউ একজন আমাদের দিকে এগিয়ে আসছে!”
হাসান আর সময় নষ্ট করল না। সে দ্রুত পরীদের দুর্গের দিকে এগোল। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে, তার সামনে এক বিশাল ছায়ামূর্তি দাঁড়িয়ে গেল। তার চোখ দুটো রক্তের মতো লাল, আর সে গভীর কণ্ঠে বলল—
“তোমাকে আমি খুঁজছি, আলোর রক্ষক!”
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর
উত্তরমুছুন