GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

বৃহস্পতিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২৫

চতুর্থ খন্ড: নতুন সূচনা

 চতুর্থ খণ্ড: চূড়ান্ত পরীক্ষা

দুই যুবক সত্যের পথ অবলম্বন করে সমাজের মানুষকে আলোর পথে ডাকার দায়িত্ব নিয়েছে।
"হৃদয় যদি আলো পায়, তাহলে পথ হারানোর ভয় থাকে না।"


কাশিমের ওপর শত্রুরা হামলা চালানোর পর হাসান আর বসে থাকেনি। সে জানত, সত্যের পথচলা কখনো সহজ নয়।

এক রাতে কাশিম মাদরাসার বাইরে এশার নামাজের পর হাঁটছিল। আচমকা, পিছন থেকে কেউ একজন বলল, “তোর শেষ সময় এসে গেছে, কাশিম!”

কাশিম ঘুরে দাঁড়াল। আগের সেই মুখোশধারীরা এবার দলবেঁধে এসেছে।


ঠিক তখনই হাসান সেখানে পৌঁছাল। তার হাতে ছিল মিসওয়াকের কাঠি, কিন্তু চেহারায় ছিল এক অদম্য সাহস।

“তোমরা কি মনে করো, অন্যায় করে পার পেয়ে যাবে?” হাসান বলল।


একজন হাসল, “তুই একা আমাদের ঠেকাবি?”

হাসান বলল, “আমি একা নই, আমার সঙ্গে আছে আল্লাহ!”


শত্রুরা আক্রমণ করতে এলে হঠাৎ মাদরাসার দরজা খুলে গেল। ভেতর থেকে ছাত্ররা বেরিয়ে এল, মাওলানা আহমদ শফি এগিয়ে এলেন।


শত্রুরা বুঝল, তারা এবার পেরে উঠবে না। কিছুক্ষণ পর তারা পালিয়ে গেল।


কাশিম হাসানের দিকে তাকিয়ে বলল, “আমি আগে ভাবতাম শক্তি মানেই অস্ত্র, কিন্তু আজ বুঝলাম—সবচেয়ে বড় শক্তি হলো ঈমান।”


হাসান হাসল, “সত্যিকারের বিজয় তো এখানেই।”


 নতুন সূচনা

সব ঝড় পেরিয়ে কাশিম এখন নতুন এক যাত্রায়। সে মাদরাসায় পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছে, ইসলামি জ্ঞান অর্জন করছে। কিন্তু তার অন্তরে এক তীব্র ইচ্ছা—এই সত্যের আলো যেন আরও অনেকের কাছে পৌঁছায়।

একদিন হাসান তাকে বলল, “কাশিম, তুমি কি ভেবেছো, আমাদের কাজ এখানেই শেষ?”

কাশিম বলল, “না, বরং এখনই শুরু।”

তারা মাদরাসার অন্যান্য ছাত্রদের নিয়ে পরিকল্পনা করল। তারা সিদ্ধান্ত নিল, সমাজের পথভ্রষ্ট যুবকদের কাছে গিয়ে ইসলামের বার্তা পৌঁছাবে।

প্রথমেই তারা গেল এক অভিজাত এলাকার এক তরুণ রুস্তম কাছে, যে বিলাসিতায় মগ্ন ছিল। হাসান বলল, “ভাই, আমরা তোমার সঙ্গে একটু কথা বলতে চাই।”

রুস্তম বিরক্ত হয়ে বলল, “আমি সময় নষ্ট করতে চাই না!”

কাশিম হাসল, “একটা প্রশ্নের উত্তর দিলেই চলে যাবো তুমি কি নিশ্চিত, আজকের রাতেই তোমার মৃত্যু হবে না?”

রুস্তম চুপ হয়ে গেল।

এরপর ধীরে ধীরে আরও অনেকে তাদের দাওয়াহ গ্রহণ করল।

এভাবেই কাশিম ও হাসান সত্যের আলো ছড়িয়ে দিতে লাগল। তারা বুঝল, শুধু নিজেদের সঠিক পথে থাকা যথেষ্ট নয়—এই সত্য অন্যদের কাছেও পৌঁছানো দায়িত্ব।

সমাপ্ত 
লেখক মাওলানা মোঃ সাকিব।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"