GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

সোমবার, ২৪ মার্চ, ২০২৫

পরীর ছোঁয়া পর্ব ৩৪: শেষ রক্ষার লড়াই

 

পর্ব ৩৪: শেষ রক্ষার লড়াই (১ম অংশ)

হাসান ও জাবের শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে, চারপাশে গুলি চলছে, হঠাৎ এক রহস্যময় তীর এসে সব বদলে দিলো।
🔥 শত্রুর ফাঁদ ভেঙে সত্যের পথে এগিয়ে যাও!🔎 রহস্য আরও গভীর হচ্ছে! কে এই নতুন ব্যক্তি? হাসান ও জাবের কি বেঁচে ফিরতে পারবে?

চারপাশ অন্ধকার, বাতাসে উত্তেজনার গন্ধ। হাসান আর জাবের পেছনে সরে এলো, কিন্তু শত্রুরা এবার পুরোপুরি তাদের চারপাশ ঘিরে ফেলেছে।

"তোমরা যতই পালানোর চেষ্টা করো, আজ আর বাঁচতে পারবে না!"

অস্ত্রধারীদের নেতা ভয়ংকরভাবে হেসে উঠলো।

প্রথম পাল্টা আঘাত

হাসান চোখের ইশারায় জাবেরকে কিছু বোঝালো। জাবের মাথা নেড়ে বুঝিয়ে দিলো—এখনই সময়!

হঠাৎ হাসান ঝাঁপিয়ে পড়ে সামনে থাকা এক অস্ত্রধারীর বন্দুক কেড়ে নিয়ে তার গলায় আঘাত করলো!

"উফফ!" লোকটা কুকুরের মতো কুঁই কুঁই করে নিচে পড়ে গেল।

জাবের ততক্ষণে পাশের দুজনকে লাথি মেরে ফেলে দিলো। তাদের বন্দুক মাটিতে পড়ে গেল, মুহূর্তের মধ্যে সে সেটা তুলে নিয়ে শত্রুদের দিকে তাক করলো!

"এখন দেখো, শয়তানের দাসরা! সত্যের লড়াই কাকে বলে!"

বিদ্যুৎগতিতে প্রতিরোধ

শত্রুরা কিছু বুঝে ওঠার আগেই হাসান আর জাবের বিদ্যুতের গতিতে তাদের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়লো।

 একটাকে কনুইয়ের বাড়ি মেরে ফেলে দিলো হাসান!
জাবের আরেকজনের হাত মুচড়ে দিয়ে তার অস্ত্র ছিনিয়ে নিলো!
 একজনে পিস্তল তুলতে গেলে হাসান তার হাত ধরে এমন মোচড় দিলো যে হাড় ভেঙে গেল!

চারদিকে শত্রুরা হতভম্ব হয়ে গেল।

এতক্ষণ তারা ভেবেছিল হাসান আর জাবের সহজ শিকার, কিন্তু এখন তারা বুঝতে পারলো—তাদের সামনে কোনো সাধারণ মানুষ নেই, বরং সত্যের সৈনিকরা দাঁড়িয়ে আছে!

শেষ মুহূর্তের হুমকি

তাদের নেতা দাঁতে দাঁত চেপে বলল, "তোমরা হয়তো আজ কিছুটা সফল হলে, কিন্তু সত্যের পথ খুব সহজ নয়! আমরা আবার ফিরে আসবো!"

হাসান তার বন্দুকের নল নেতার কপালে ঠেকিয়ে দিলো।

"তোমরা যতই ফিরে আসো, আমরা ততবার তোমাদের তুলাধুনা করবো!"

নেতার চোখে ভয় ফুটে উঠলো…

(চলবে…)



পর্ব ৩৪: শেষ রক্ষার লড়াই (২য় অংশ)

শত্রুরা একে একে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে। হাসান আর জাবের দুজনেই বিদ্যুতের গতিতে যুদ্ধ করছে।

শত্রুর চক্রান্ত

হঠাৎ পাশের গলির অন্ধকার থেকে কয়েকজন মুখোশধারী বেরিয়ে এলো। তাদের হাতে আধুনিক অস্ত্র!

"তোমরা হয়তো আমাদের কিছু লোককে হারিয়েছো, কিন্তু এবার পালাতে পারবে না!"

তারা চারপাশ থেকে হাসান ও জাবেরকে ঘিরে ফেললো।

জাবের নিচু গলায় বলল, "এরা সংখ্যায় বেশি, এবার আমাদের চালাকি দেখাতে হবে!"

হাসান দ্রুত চারপাশ লক্ষ করলো। পাশে একটা ভাঙা ট্রাক পড়ে আছে, কিছু কাঠের বাক্সের স্তূপও আছে।

প্রতিশোধের আগুন

হঠাৎ হাসান গর্জে উঠলো, "আল্লাহর নামে লড়াই করো!"

সে দ্রুত নিচু হয়ে পাশের একটা ইট তুলে নিয়ে সামনে থাকা একজনের মাথায় সজোরে আঘাত করলো! লোকটা সাথে সাথে লুটিয়ে পড়লো।

জাবেরও এক ঝটকায় এক শত্রুর বন্দুক কেড়ে নিলো এবং তার হাঁটুতে এমনভাবে লাথি মারলো যে লোকটা চিৎকার দিয়ে মাটিতে পড়ে গেল!

বাকি শত্রুরা হতভম্ব হয়ে গেল!

হাসান আর জাবের তখন পাল্টা হামলা শুরু করলো।

হাসান একটা লাঠি তুলে নিয়ে সামনে থাকা দুজনের পায়ে মেরে ফেলে দিলো!
জাবের একটা ইট দিয়ে এক শত্রুর মাথায় আঘাত করলো, রক্ত ছিটকে পড়লো!
শত্রুদের মধ্যে যারা বন্দুক তুলতে চাইলো, তাদের হাত ধরে মোচড় দিয়ে অস্ত্র ছিনিয়ে নিলো হাসান!

চারপাশে শুধু ধ্বংস আর চিৎকার!

শত্রুর প্রধানের ভয়

নেতা এবার আতঙ্কিত হয়ে পড়লো।

"এরা মানুষ নাকি শয়তান!"

সে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করলো, কিন্তু জাবের সামনে এসে তার পথ আটকে দিলো।

"আজকে তোদের পালানোর রাস্তা নেই!"

নেতা এবার হাঁটু গেড়ে বসে পড়লো।

"দয়া করো! আমাদের ছেড়ে দাও!"

হাসান এক ধাপ সামনে এগিয়ে এসে বলল,

"যারা নিরপরাধ মানুষের ওপর হামলা চালায়, তাদের জন্য কোনো দয়া নেই!"

তারপর সে নেতার কলার চেপে ধরলো…

(চলবে…)



পর্ব ৩৪: শেষ রক্ষার লড়াই (৩য় অংশ)

নেতার মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। সে কাঁপতে কাঁপতে বলল,

"দয়া করো! আমি শুধু আদেশ পালন করেছি!"

জাবের তার কলার ধরে এক ধাক্কায় মাটিতে ফেলে দিলো।

"তোর মতো কাপুরুষরা সবসময় অন্যের আদেশের আড়ালে লুকায়। কিন্তু আজ কোনো ক্ষমা নেই!"

নেতা এবার করুণ স্বরে বলল,

"আমি যা জানি, সব বলব! শুধু আমাকে ছেড়ে দাও!"

অন্ধকার ষড়যন্ত্র ফাঁস হলো

হাসান এগিয়ে এসে তার দিকে তাকিয়ে বলল,

"তাহলে বল, কার আদেশে এসব করছিলে?"

নেতা ঢোঁক গিলে বলল,

"আমাদের আসল নেতা একজন বড় ব্যক্তি, সে এত সহজে ধরা দেবে না। আমরা শুধু তার সৈনিক!"

"নাম বল! সে কোথায়?" হাসান গর্জে উঠলো।

নেতা কিছু বলার আগেই একটা গুলির শব্দ শোনা গেল!

বিশ্বাসঘাতকের শেষ পরিণতি

হাসান দ্রুত সরে গেল, কিন্তু নেতা পড়ে গেল রক্তের স্রোতে। দূর থেকে কেউ একজন তাকে গুলি করেছে!

"আমাদের থেকে গোপন তথ্য বের করার আগেই শত্রুরা নিজেদের লোককে মেরে ফেলছে!" জাবের চিৎকার করে উঠলো।

হাসান দ্রুত আশেপাশে নজর দিলো। অন্ধকারের মধ্যে ছায়ার মতো কেউ একজন দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছে!

"ওকে ধরতে হবে!" হাসান বলে দৌড় দিলো।

জাবেরও পেছনে দৌড়াল।

অন্ধকারে ধাওয়া

শত্রু তাদের ধরা পড়তে দিতে চায় না। সে রাস্তার গলি দিয়ে পালাচ্ছে, কিন্তু হাসান আর জাবের আগুনের মতো তেড়ে আসছে।

একটা দেয়ালের সামনে এসে শত্রু বুঝতে পারলো, তার আর পালানোর রাস্তা নেই!

সে দ্রুত বন্দুক তুলতে চাইল, কিন্তু…

জাবের বিদ্যুতের গতিতে লাফিয়ে উঠে তার হাতে প্রচণ্ড আঘাত করলো! বন্দুকটা দূরে ছিটকে পড়লো।

হাসান এবার সামনে এসে বলল,

"তোরও কি নেতার মতো শেষ হবে, নাকি সব সত্য বলে দিবি?"

শত্রুর চোখে ভয়!

নতুন রহস্যের উন্মোচন

শত্রু নিঃশ্বাস নিতে নিতে বলল,

"আমি কিছুই জানি না, আমাকে ছেড়ে দাও!"

জাবের গর্জে উঠলো,

"মিথ্যা বলিস না!"

হাসান ধমক দিলো,

"আমরা সত্য না জানা পর্যন্ত তোকে ছাড়ছি না!"

শত্রুর চোখে ভয় জমে গেল।

কিন্তু সে কিছু বলার আগেই…

পেছন থেকে এক গাড়ি দ্রুত এসে থামলো, আর…

নতুন বিপদ অপেক্ষা করছে…

(চলবে…)


পর্ব ৩৪: শেষ রক্ষার লড়াই (৪র্থ অংশ)

গাড়ির দরজা খুলেই একদল মুখোশধারী লোক বেরিয়ে এলো। তাদের হাতে ভারী অস্ত্র!

"কাউকে ছেড়ে দিও না!"

তারা গুলি চালাতে শুরু করলো!

মৃত্যুর ফাঁদ থেকে মুক্তির চেষ্টা

হাসান আর জাবের দ্রুত পাশের দেয়ালের আড়ালে লুকিয়ে পড়লো। বুলেটগুলো তাদের পাশ দিয়ে শিসিয়ে চলে গেল।

জাবের বলল,

এরা তো আমাদের শেষ করে দিতে এসেছে!"

হাসান ঠান্ডা গলায় বলল,

"আমরাও তৈরি আছি!"

শত্রুর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ

জাবের তার কোমর থেকে ছুরি বের করে ছুড়ে মারলো একজন মুখোশধারীর গলায় বিঁধলো!

হাসান দ্রুত পাশের লোহার পাইপটা তুলে নিয়ে আঘাত করলো আরেকজনের মাথায়—সে সাথে সাথে মাটিতে লুটিয়ে পড়লো!

তারা ধীরে ধীরে শত্রুদের সংখ্যা কমাতে থাকলো।

আসল নেতার আবির্ভাব

শত্রুরা বুঝলো, সাধারণ গুন্ডাদের দিয়ে হাসান-জাবেরকে থামানো যাবে না।

তখনই…

একজন লম্বা, কালো কোট পরা ব্যক্তি গাড়ি থেকে নামলো।

তার চোখে ভয়ানক দৃষ্টি!

"তোমরা সত্যিই আমাদের জন্য ঝামেলা তৈরি করেছো। এখন সময় শেষ!"

সে তার বন্দুক তুললো…

শেষ মুহূর্তের চমক

হঠাৎ…

একটা তীক্ষ্ণ শব্দ শোনা গেল!

কোথা থেকে যেন একটা তীর এসে সেই ব্যক্তির হাতে বিদ্ধ হলো!

সে চিৎকার করে বন্দুক ফেলে দিলো!

হাসান তাকিয়ে দেখলো—একজন অচেনা লোক ছাদের উপর দাঁড়িয়ে আছে, হাতে ধনুক!

সে বলল,

"এই লড়াই এখানে শেষ হয়নি!"

নতুন রহস্যের শুরু…

কে এই ব্যক্তি?

সে কি হাসানদের বন্ধু নাকি নতুন শত্রু?

আর এই কালো কোট পরা ব্যক্তি—তার পিছনের আসল শক্তি কে?

সবকিছু আরও গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিচ্ছে…

(চলবে…)


লেখক মাওলানা মোঃ সাকিব


1 টি মন্তব্য:

আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"