GDPR সম্মতি

আমাদের ওয়েবসাইটে আপনার অভিজ্ঞতা উন্নত করার জন্য আমরা কুকি এবং আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করি। আপনার সম্মতি থাকলে আমরা এই তথ্যগুলি সংগ্রহ করতে পারি। আপনি চাইলে আপনার সম্মতি দিতে পারেন অথবা নীচের পছন্দগুলি পরিবর্তন করতে পারেন। সম্মতি দিন | পছন্দ পরিবর্তন করুন

রবিবার, ৩০ মার্চ, ২০২৫

পরীর ছোঁয়া (৩৯তম খণ্ড)

 

পরীর ছোঁয়া (৩৯তম খণ্ড)


হাসান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বাইরে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়ামূর্তিগুলোর চোখে বিদ্বেষের আগুন। বাতাস থমথমে হয়ে উঠেছে। "তুমি কি মনে করেছো, সত্যের পথে হাঁটবে আর আমরা কিছু বলবো না?" তাদের নেতা কঠিন কণ্ঠে বলল। মাহির শান্ত স্বরে বলল, "সত্যের পথে যারা চলে, তাদের রোধ করা সহজ নয়। সত্য নিজেই তার রক্ষার ব্যবস্থা করে।"
হাসান এবং তার সঙ্গীরা নতুন চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি, তারা জানে যে সত্যের পথে চলতে গেলে বড় বড় বাধার সম্মুখীন হতে হবে, কিন্তু তারা প্রস্তুত।


হাসান দরজার সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বাইরে অন্ধকারে দাঁড়িয়ে থাকা ছায়ামূর্তিগুলোর চোখে বিদ্বেষের আগুন। বাতাস থমথমে হয়ে উঠেছে।


"তুমি কি মনে করেছো, সত্যের পথে হাঁটবে আর আমরা কিছু বলবো না?" তাদের নেতা কঠিন কণ্ঠে বলল।


হাসান শান্ত স্বরে বলল, "সত্যের পথে যারা চলে, তাদের রোধ করা সহজ নয়। সত্য নিজেই তার রক্ষার ব্যবস্থা করে।"


নেতা তাচ্ছিল্যের হাসি হাসল, "তোমার সাহস আছে, কিন্তু এই সাহস বেশিদিন টিকবে না। শীঘ্রই তুমি বুঝতে পারবে, এই সমাজের নিয়ম যারা ভাঙে, তাদের কী পরিণতি হয়।"


মাহির কোনো ভয় দেখাল না, বরং আত্মবিশ্বাসের সাথে বলল, "আমার জীবন ও মৃত্যু আল্লাহর হাতে। কারও ভয় দেখানোতে আমি পিছিয়ে যাব না।"


তাদের নেতা ক্রোধে ফুঁসে উঠল। "দেখা যাক, কতটুকু সহ্য করতে পারো!" বলে সে তার সঙ্গীদের ইঙ্গিত করল। মুহূর্তের মধ্যে তারা হাসানের দিকে এগিয়ে এলো।


মেয়েটি দরজার পাশে দাঁড়িয়ে ছিল, তার চোখেও ভয় ছিল না। সে চিৎকার করে বলল, "আল্লাহ আমাদের সাহায্য করবেন!"


হঠাৎই চারপাশের বাতাস যেন আরও ভারী হয়ে উঠল। এক অদ্ভুত শক্তি যেন চারপাশে ছড়িয়ে পড়ল। হামলাকারীরা থমকে গেল। তাদের চোখে দ্বিধার ছাপ। যেন তারা কিছু অনুভব করছে, কিন্তু বুঝতে পারছে না।


হাসান অনুভব করল, তার হৃদয়ে এক অদ্ভুত প্রশান্তি নেমে এসেছে। সে চোখ বন্ধ করে মনে মনে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করল।


তখনই এক প্রবীণ ব্যক্তি হঠাৎ সামনে এসে দাঁড়ালেন। তাঁর চোখে ছিল প্রজ্ঞার আলো। তিনি ধীর কণ্ঠে বললেন, "সত্যের পথে যারা বাধা দেয়, তাদের পরিণতি কখনো ভালো হয় না। ফিরে যাও, নাহলে তোমাদের জন্যই বিপদ অপেক্ষা করছে।"


নেতা প্রথমে চমকে উঠল, তারপর হেসে উঠল, "তুমি আমাদের ভয় দেখাচ্ছো? এই বুড়ো মানুষটিকে দিয়ে আমাদের আটকাতে চাও?"


প্রবীণ ব্যক্তি শান্ত স্বরে বললেন, "আমি ভয় দেখাচ্ছি না, শুধু সতর্ক করছি। কারণ আল্লাহর ন্যায়বিচার অনিবার্য।"


হঠাৎই আশপাশে ঝড়ো বাতাস বইতে শুরু করল। আকাশ যেন রুদ্র হয়ে উঠল। হামলাকারীরা পেছাতে শুরু করল। তাদের নেতা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে গেল। মুহূর্তের মধ্যে তারা একে একে অন্ধকারের মধ্যে হারিয়ে গেল।


হাসান বিস্মিত হয়ে প্রবীণ ব্যক্তির দিকে তাকাল। "আপনি কে?"


প্রবীণ ব্যক্তি মৃদু হেসে বললেন, "আমি একজন পথিক, সত্যের পথের যাত্রী। তুমি শুধু মনে রেখো, যারা সত্যের পথে থাকে, আল্লাহ তাদের রক্ষা করেন। তোমার পথ কঠিন হবে, কিন্তু আল্লাহ তোমার সঙ্গেই থাকবেন।"


সেই রাতের ঘটনার পর, হাসান বুঝতে পারল যে সামনে আরও কঠিন পরীক্ষার সময় আসছে।


সে মেয়েটির দিকে তাকিয়ে বলল, "তুমি কি আমার সঙ্গে থাকবে? এই পথে চলতে হলে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হবে।"


মেয়েটি দৃঢ় কণ্ঠে বলল, "আমি জানি। এবং আমি প্রস্তুত। কারণ আমি জানি, এই পথই সত্যের পথ।"


হাসান মৃদু হাসল, "তাহলে আমরা একসঙ্গে চলব, যত বাধাই আসুক না কেন।"


পরদিন সকালে হাসান ও মেয়েটি নতুন পরিকল্পনা করল। তারা এখন আর শুধু আত্মরক্ষার কথা ভাববে না, বরং সত্য প্রচারের জন্য কাজ করবে। তারা একটি গোপন জায়গায় চলে গেল, যেখানে সত্যের অনুসারীরা একত্রিত হচ্ছিল।


তারা সবাই মিলে পরিকল্পনা করতে লাগল— কীভাবে সত্যের আলোকে আরও মানুষের কাছে পৌঁছে দেওয়া যায়, কীভাবে অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানো যায়।


তাদের নতুন পথচলার শুরু হলো। এবং তারা জানত, এই পথে ঝড় আসবে, শত্রুরা বাধা দেবে, কিন্তু তারা প্রস্তুত। কারণ তারা জানত, সত্যের আলো কখনো নিভে না।


@@@

হাসান ও তার সঙ্গীরা সত্য প্রচারের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ শুরু করল। তারা এমন একটি স্থান খুঁজে পেল, যেখানে তারা নিরাপদে মানুষের কাছে সত্যের বার্তা পৌঁছে দিতে পারবে। তবে, তাদের প্রতিপক্ষও বসে ছিল না। তারা হাসানের দলকে থামানোর জন্য নতুন ষড়যন্ত্র আঁটছিল।


একদিন সকালে, হাসান ও তার সঙ্গীরা যখন নতুন এলাকায় পৌঁছাল, তখন তারা অনুভব করল যে কেউ তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করছে। মেয়েটি সাবধান করে বলল, "আমরা এখনো নিরাপদ নই, আমাদের আরও সতর্ক হতে হবে।"


হাসান মাথা ঝাঁকালো, "হ্যাঁ, আমরা জানি যে সত্যের পথে বাধা আসবেই। কিন্তু ভয় পেলে চলবে না।"


ঠিক তখনই অদূরে একদল লোক তাদের দিকে এগিয়ে এল। তাদের চোখেমুখে বিদ্বেষের ছাপ স্পষ্ট। একজন চিৎকার করে বলল, "তোমরা এখানে কী করতে এসেছো? আমরা জানি, তোমরা সমাজের নিয়ম ভাঙতে চাও!"


হাসান শান্ত কণ্ঠে বলল, "আমরা সত্য প্রচার করতে এসেছি। আমরা কোনো অন্যায় করতে আসিনি।"


তাদের নেতা ক্রুদ্ধ হয়ে বলল, "আমরা তোমাদের সহ্য করব না! তুমি যদি এখান থেকে চলে না যাও, তবে তোমার জন্য বিপদ অপেক্ষা করছে।"


মেয়েটি এগিয়ে এসে বলল, "আমরা সত্যের পথ ছেড়ে যাব না। আমাদের জীবন-মৃত্যু আল্লাহর হাতে। তোমাদের ভয় দেখিয়ে আমাদের পথ থেকে সরানো যাবে না।"


তারা তাচ্ছিল্যের হাসি দিল। "তাহলে দেখিয়ে দিই, আমাদের ক্ষমতা কতটুকু!"


ঠিক তখনই, দূর থেকে প্রবীণ ব্যক্তিটি এসে দাঁড়ালেন। তিনি বললেন, "অন্যায়ের শক্তি বেশিদিন টিকে না। তোমরা সত্যের সঙ্গে লড়াই করতে পারবে না।"


এই কথা শুনে শত্রুরা কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়ল। মুহূর্তের জন্য তারা থমকে গেল।


হাসান ও তার সঙ্গীরা এই সুযোগে আরও মানুষের মধ্যে সত্যের বার্তা ছড়িয়ে দিতে লাগল। ধীরে ধীরে তাদের অনুসারী বাড়তে থাকল। কিন্তু শত্রুরা চুপ করে বসে থাকবে না, তারা আরও বড় পরিকল্পনা করছিল।


হাসান জানত, সামনে আরও কঠিন সময় আসছে। কিন্তু সে প্রস্তুত ছিল। সে জানত, সত্যের পথে যে-ই চলে, তাকে ধৈর্য ধারণ করতেই হবে।


(৩৯তম খণ্ড শেষ। পরবর্তী খণ্ডে জানা যাবে, মাহির ও তার সঙ্গীরা কীভাবে শত্রুদের নতুন চক্রান্তের মোকাবিলা করবে।)

২টি মন্তব্য:

আপনার মতামত আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। অনুগ্রহ করে শালীন ভাষায় কমেন্ট করুন।"