উপন্যাস: পরীর ছোঁয়া
পর্ব ২৬: সত্যের পথ—শয়তানের নতুন কৌশল
হাসানের হৃদয় এখনও দ্রুত স্পন্দিত হচ্ছিল। অশুভ শক্তির উপস্থিতি অনুভব করেও সে ধৈর্য হারায়নি। কুরআনের আয়াত পাঠ করার পর সেই ছায়ামূর্তি মিলিয়ে গিয়েছিল, কিন্তু হাসান বুঝতে পারছিল—এটা ছিল মাত্র শুরু!
শয়তানের নতুন ফাঁদ
পরের দিন সকালে হাসান শহরের এক প্রান্তে গিয়ে কিছু দরিদ্র মানুষের জন্য খাবার বিতরণ করছিল। কিছুদিন ধরে সে বিভিন্ন মানুষকে ইসলাম সম্পর্কে বোঝাচ্ছিল, সত্যের পথে ডাকছিল।
ঠিক তখনই এক অপরিচিত লোক তার সামনে এসে দাঁড়াল।
"তুমি হাসান, তাই না?"
"জি, আমিই হাসান" সে বিনয়ের সাথে উত্তর দিল।
"তুমি কি জানো, তোমার সাথে বড় বিপদ হতে যাচ্ছে?"
"কীসের বিপদ?"
লোকটি রহস্যময় হাসি দিয়ে বলল, "যে শক্তি তুমি পরীদের রাজ্যে দেখেছিলে, সেটি এখানেও আছে। এবার তোমার চারপাশের মানুষকে ব্যবহার করা হবে!"
হাসান থমকে গেল। সে বুঝতে পারল, শয়তান এবার নতুন পদ্ধতিতে কাজ করছে।
শয়তানের অস্ত্র—মানুষের মন
সেই দিন থেকেই হাসান লক্ষ্য করল, তার আশপাশের মানুষগুলো ধীরে ধীরে বদলে যাচ্ছে। যারা একসময় তার কথায় উৎসাহিত হত, তারাই এখন তাকে সন্দেহের চোখে দেখছে।
একদিন এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু এসে বলল, "হাসান, তুমি কি আসলেই ঠিক পথে আছো? আমরা তো শুনেছি, তুমি অদ্ভুত কিছু জিনিস বিশ্বাস করো!"
হাসান অবাক হয়ে বলল, "সত্য কখনো অদ্ভুত হতে পারে না। ইসলাম আমাদের স্পষ্ট পথ দেখিয়েছে।"
কিন্তু বন্ধু শুধু মাথা নেড়ে চলে গেল।
কুরআনের আলোতে পথচলা
সেই রাতে হাসান গভীরভাবে চিন্তা করল। সে কুরআন খুলল এবং পড়তে লাগল—
"নিশ্চয়ই শয়তান তোমাদের শত্রু, অতএব তোমরা তাকে শত্রু বলে জানো। সে তো তার অনুসারীদের শুধু জাহান্নামের দলে অন্তর্ভুক্ত করার জন্যই ডাকে।"
(সূরা ফাতির: ৬)
হাসান বুঝতে পারল, শয়তানের সবচেয়ে বড় অস্ত্র হলো মানুষের মনে সন্দেহ সৃষ্টি করা।
মাহির সিদ্ধান্ত নিল, সে আরও বেশি মানুষকে সত্যের পথে ডাকবে, এবং শয়তানের এই ষড়যন্ত্র প্রতিহত করবে।
কিন্তু সে জানত না, সামনে অপেক্ষা করছে এমন এক পরীক্ষা, যা তার সব সহ্যশক্তিকে চূর্ণ করে দিতে পারে…
সুন্দর
উত্তরমুছুনMasallah
উত্তরমুছুন